Madhyamik Question Papers

মাধ্যমিক ২০২৫ ভূগোল প্রশ্নপত্রের সমস্ত উত্তর

Geography
madhyamik 2025 geography answer thumbnail

আপনি কি মাধ্যমিকের ভূগোল প্রশ্নপত্রের উত্তর খুঁজছেন? এই আর্টিকেলে আপনি পাবেন ২০২৫ সালের মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্নপত্রের সঠিক উত্তর।

নিচে ২০২৫ সালের প্রশ্নপত্রের প্রতিটি উত্তর সুন্দরভাবে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য আগের বছরের প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

MadhyamikQuestionPapers.com ২০১৭ থেকে বর্তমান পর্যন্ত সব মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এবং উত্তর বিনামূল্যে আপলোড করেছে।

Download 2017 to 2024 All Subject’s Madhyamik Question Papers

View All Answers of Last Year Madhyamik Question Papers

যদি দ্রুত প্রশ্ন ও তার উত্তর খুঁজতে চান, তাহলে নিচের Table of Contents এর পাশে থাকা [!!!] এই চিহ্নটিতে ক্লিক করুন। এই পেজে থাকা সমস্ত প্রশ্নের উত্তর Table of Contents এ ক্রমানুসারে দেওয়া আছে। যে প্রশ্নের ওপর ক্লিক করবেন, সরাসরি তার উত্তরে চলে যেতে পারবেন।

Table of Contents

বিভাগ ‘ক’

১। বিকল্পগুলির থেকে সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো:

১.১ নিম্নলিখিত গুলির মধ্যে মিলেট শস্য চিহ্নিত করো-

(ক) রাগি
(খ) ভুট্টা
(গ) যব
(ঘ) গম

উত্তর: (ক) রাগি

১.২ ভারতের প্রথম কাপড়ের কল স্থাপিত হয়-

(ক) আহমেদাবাদ
(গ) ঘুষুড়ি
(খ) কোয়েম্বাটোর
(ঘ) কানপুর

উত্তর: (গ) ঘুষুড়ি

১.৩ কোলকাতা ও দিল্লিকে সংযোগকারী জাতীয় সড়কপথটি হলো

(ক) NH-2
(খ) NH-6
(গ) NH-44
(ঘ) NII-1

উত্তর: (ক) NH-2

১.৪ ভারতের উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ করে

(ক) Survey of India
(খ) ISRO
(গ) NATMO
(ঘ) ISI

উত্তর: (খ) ISRO

১.৫ বর্ষাকালে ভরা কোটালের সময় সমুদ্রের জল প্রবলবেগে নদীর মোহনা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে, তাকে বলে

(ক) সমুদ্র স্রোত
(খ) সমুদ্র তরঙ্গ
(গ) সুনামি
(ঘ) বান ডাকা

উত্তর: (ঘ) বান ডাকা

১.৬ নিম্নলিখিতগুলির মধ্যে পরিবেশে সর্বাধিক ক্ষতিকারক দূষক হলো

(ক) পলিথিন
(খ) খবরের কাগজ
(গ) ফেলে দেওয়া খাবার
(ঘ) প্রাণীজ বর্জ্য

উত্তর: (ক) পলিথিন

১.৭ আয়তন অনুসারে ভারতের ক্ষুদ্রতম কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হলো

(ক) লাদাখ
(খ) দিল্লি
(গ) লাক্ষাদ্বীপ
(ঘ) পুদুচেরী

উত্তর: (গ) লাক্ষাদ্বীপ

১.৮ দিহং, দিবং ও লোহিত নদীর মিলিত প্রবাহের নাম-

(ক) গোদাবরী
(খ) ব্রহ্মপুত্র
(গ) তিস্তা
(ঘ) সিন্ধু

উত্তর: (খ) ব্রহ্মপুত্র

১.৯ হিমালয়ের একটি সরলবর্গীয় উদ্ভিদের উদাহরণ হ’ল-

(ক) মেহগিনি
(খ) অর্জুন
(গ) শাল
(ঘ) পাইন

উত্তর: (ঘ) পাইন

১.১০ যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় মাটি ও শিলাস্তর অভিকর্ষের টানে উচ্চভূমির ঢাল বরাবর নীচে নেমে আসে তাকে বলে-

(ক) আবহবিকার
(খ) আরোহণ
(গ) পুঞ্জিত ক্ষয়
(ঘ) সঞ্চয়

উত্তর: (গ) পুঞ্জিত ক্ষয়

১.১১ পাখীর পায়ের মতো বদ্বীপ দেখা যায় যেংদীর মোহানায়

(ক) মিসিসিপি-মিসৌরি
(খ) হোয়াংহো
(গ) ইরাবতী
(ঘ) তাইবার

উত্তর: (ক) মিসিসিপি-মিসৌরি

১.১২ দক্ষিণ গোলার্ধে সমুদ্র স্রোত বামদিকে বিক্ষিপ্ত হয়, কারণ

(ক) পৃথিবীর আবর্তন
(খ) সমুদ্র জলের লবণতা
(গ) সমুদ্র জলের
(ঘ) অভিকর্ষজ বল

উত্তর: (ক) পৃথিবীর আবর্তন

১.১৩ অধঃক্ষেপণের একটি উদাহরণ হ’ল

(ক) শিশির
(খ) শ্লিট
(গ)কুয়াশা
(ঘ) ধোঁয়াশা

উত্তর: (খ) শ্লিট

১.১৪ ক্যারিবিয়ান সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণাবর্তকে বলা হয়

(ক) টাইফুন
(খ) টর্নেডো
(গ) উইলি-উইলি
(ঘ) হ্যারিকেন

উত্তর: (ঘ) হ্যারিকেন

বিভাগ ‘খ’

২। ২.১ নিম্নলিখিত বাক্যগুলি শুদ্ধ হলে পাশে ‘শু’এবং অশুদ্ধ হলে পাশে ‘অ’ লেখো:

২.১.১ ভূপৃষ্ট সংলগ্ন বায়ুস্তর প্রধানতঃ উত্তপ্ত হয় বিক্ষিরণ পদ্ধতির সাহায্যে।

উত্তর: ‘শু’

২.১.২ ভূবৈচিত্র্য সূচক মানচিত্রে ভূমিভাগের দূরত্ব ও মানচিত্রের দূরত্বের অনুপাত স্কেলের দ্বারা নির্দেশিত হয়।

উত্তর: ‘শু’

২.১.৩ সিমেন্ট কারখানা থেকে উৎপাদিত বর্জ্য পদার্থ বায়ু দূষণ ঘটায়।

উত্তর: ‘শু’

২.১.৪ উল্কাপিন্ড স্ট্রাটোস্ফিয়ার স্তরে পুড়ে ছাই হয়।

উত্তর: ‘অ’ 

২.১.৫ শুক্ল ও কৃয় পক্ষের অষ্টমী তিথিতে সমুদ্রে ভরা কোটাল দেখা যায়।

উত্তর:অ’

২.১.৬ মরু অঞ্চলে বায়ু ও জলের মিলিত কার্যের ফলে সৃষ্ট অস্থায়ী হ্রদগুলিকে প্লায়া বলে।

উত্তর: ‘শু’

২.১.৭ হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চলে নুড়ি, বালি ও পলি ঘটিত সমভূমি অঞ্জুল বেট নামে পরিচিত।

উত্তর: ‘অ’

২. ২. উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো (যে কোনো ছয়টি প্রশ্নের উত্তর দাও):

২.২.১ গ্রীষ্মকালে উত্তর পশ্চিম ভারতের ধূলিঝড়-নামে ____ পরিচিত।

উত্তর: আঁধি

২.২.২ উপগ্রহ চিত্রের ক্ষুদ্রতম এককের নাম ____

উত্তর: পিক্সেল

২.২.৩ চন্দ্র থেকে পৃথিবীর দূরত্ব যখন ৩.৫৬ লক্ষ কিমি হয় তখন তাকে ____ অবস্থান বলে।

উত্তর: পেরিজি

২.২.৪ পারমানবিক শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র থেকে নির্গত বর্জ্যকে ____ বর্জ্য বলে।

উত্তর: তেজস্ক্রিয়

২.২.৫ নদী দ্বারা ____ পদ্ধতির সাহায্যে অদ্রবীভূত সুক্ষ বালু, পলি ও কাদা পরিবাহিত হয়।

উত্তর: ভাসমান 

২.২.৬ বায়ুর চাপ পরিমাপ করা হয় ____ যন্ত্রের সাহায্যে।

উত্তর: ব্যারোমিটার

২.২.৭ যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে ভূমিরূপের বিবর্তন ও পরিবর্তন ঘটে, তাকে ____ বলে।

উত্তর: বহির্জাত

২.৩ একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও (যে কোনো ছয়টি প্রশ্নের উত্তর দাঁড়):

২.৩.১ শীতকালে উত্তর পশ্চিম ইউরোপের বন্দরগুলি কোন উষ্ন স্রোতের প্রভাবে বরফমুক্ত থাকে?

উত্তর: শীতকালে উত্তর পশ্চিম ইউরোপের বন্দরগুলি গালফ স্ট্রিম উষ্ন স্রোতের প্রভাবে বরফমুক্ত থাকে?

২.৩.২ কাশ্মীরে প্রবাহিত বিতস্তা (ঝিলম) নদী, কোন নদীর উপনদী?

উত্তর: কাশ্মীরে প্রবাহিত বিতস্তা (ঝিলম) নদী, সিন্ধু নদীর উপনদী

২.৩.৩ ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলে কোন ধরণের চাষের জন্য অধিক মৃত্তিকাগ্রোয় দেখা যায়?

উত্তর: ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলে ঝুম ধরণের চাষের জন্য অধিক মৃত্তিকাগ্রোয় দেখা যায়।

২.৩.৪ ওড়িশার কটক শহরে কোন ফসলের কেন্দ্রীয় গবেষণাগার অবস্থিত?

উত্তর: ওড়িশার কটক শহরে দান ফসলের কেন্দ্রীয় গবেষণাগার অবস্থিত।

২.৩.৫ ২০১১ খ্রিস্টাব্দের আদমসুমারি অনুসারে ভারতের মহানগরের ন্যূনতম জনসংখ্যা কতো?

উত্তর: ২০১১ খ্রিস্টাব্দের আদমসুমারি অনুসারে ভারতের মহানগরের ন্যূনতম জনসংখ্যা ১০ লক্ষ্ম ।

২.৩.৬ ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রে প্রদত্ত R. F. যখন ১:৫০০০০ তখন এর মেট্রিক স্কেল কতো?

উত্তর: ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রে প্রদত্ত R. F. যখন ১:৫০০০০ তখন এর মেট্রিক স্কেল ১ সেমি তে ৫০০ মিটার।

২.৩.৭ পর্বতের পাদদেশে নদীর কার্যের ফলে যে শঙ্কু আকৃতির ভূমিরূপ সৃষ্টি হয় তাকে কী বলে?

উত্তর: পর্বতের পাদদেশে নদীর কার্যের ফলে যে শঙ্কু আকৃতির ভূমিরূপ সৃষ্টি হয় তাকে পলল শঙ্কু বলে।

২.৩.৮ যে কাল্পনিক রেখা দ্বারা সমান বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলগুলিকে যুক্ত করা হয় তার নাম কী?

উত্তর: যে কাল্পনিক রেখা দ্বারা সমান বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলগুলিকে যুক্ত করা হয় তার নাম সমবর্ষণ রেখা ।

২.৪. বামদিকের সঙ্গে ডানদিকেরগুলি মিলিয়ে লেখো:

উত্তর: 

বামদিকডানদিক
২.৪.১ লাডাক২। খারদুংলা
২.৪.২ কান্ডালা১। করমুক্ত বন্দর
২.৪.৩ ভিলাই৪। লৌহ ইস্পাত শিল্প
২.৪.৪ রাজস্থান৩। লুনি

৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও (বিকল্প) প্রশ্নগুলি লক্ষণীয়):

৩.১ ‘কচ্ছের রণ’ কী?

উত্তর: কচ্ছের রণ হল একটি লবণাক্ত জলাভূমি যার বেশিরভাগই অংশ ভারতের গুজরাত রাজ্যে অবস্থিত ও কিছু অংশ পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে অবস্থিত। এটি দুটি প্রধান অংশে বিভক্ত; কচ্ছের বড় রণ এবং কচ্ছের ছোট রণ।

অথবা, কৃষি বনসৃজনের সংজ্ঞা দাও।

উত্তর: কৃষি বনসৃজন বলতে বোঝায়, কৃষি কার্যক্রমের মাধ্যমে বন এবং গাছপালা সৃষ্টি করা। এটি বনায়নকে কৃষির সাথে একত্রিত করে। কৃষি বনসৃজনের মাধ্যমে একই জমিতে ফসল, পশুসম্পদ, এবং গাছকে একত্রে চাষ করা হয়।

৩.২ অনুসারী শিল্প বলতে কী বোঝো?

উত্তর: যেসব শিল্প কোনো বড় শিল্প থেকে উৎপাদিত শিল্পজাত দ্রব্য ব্যবহার করে তৈরি হয়, তাকে অনুসারী শিল্প বলে। একে ডাউন স্ট্রিম ইন্ডাস্ট্রিও বলা হয়

অথবা, সোনালি চতুর্ভুজের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত দুটি মহানগরের নাম লেখো।

উত্তর: সোনালী চতুর্ভুজের পূর্ব প্রান্তে কলকাতা এবং পশ্চিম প্রান্তে মুম্বাই অবস্থিত। 

৩.৩ ‘ফলস্ কালার’ (ছদ্ম রং) বলতে কী বোঝো।

উত্তর: ভূপৃষ্ঠের উপাদানগুলির প্রকৃত রঙের পরিবর্তে অন্য রং বা ছদ্ম রং ব্যবহার করাকে ফলস কালার বলে। 

উপগ্রহ থেকে প্রেরিত ছবিকে নিখুত করার জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়

অথবা, উপগ্রহের সেন্সর কী?

উত্তর: উপগ্রহের সেন্সর হল এমন একটি ডিভাইস যা মহাকাশ থেকে ছবি এবং ডেটা ক্যাপচার করতে ব্যবহৃত হয়, যা পৃথিবীর পৃষ্ঠ এবং বায়ুমণ্ডল সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে।

৩.৪ বিষাক্ত বর্জ্যের সংজ্ঞা দাও।

উত্তর: কোনও অবাঞ্ছিত পদার্থ যা মানুষ বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর, তাকে বিষাক্ত বর্জ্য বলে। 

অথবা, বর্জ্যের পৃথকীকরণ বলতে কি বোঝো?

উত্তর: বর্জ্যের পৃথকীকরণ বলতে বর্জ্য পদার্থকে তার ধরন অনুযায়ী আলাদা করা বোঝায়। এটি সাধারণত জৈব (জীবাণুবিয়োজ্য) ও অজৈব (অজীবাণুবিয়োজ্য) বর্জ্যে ভাগ করা হয়।

৩.৫ ‘শিশিরাঙ্ক’ বলতে কি বোঝা যায়?

উত্তর: শিশিরাঙ্ক হলো নির্দিষ্ট তাপমাত্রা, যেখানে বাতাসে থাকা জলীয় বাষ্প সম্পূর্ণ সম্পৃক্ত হয়ে তরল জলে পরিণত হয়, অর্থাৎ শিশির গঠিত হয়।

অথবা, সিজিগি কী?

উত্তর: জ্যোতির্বিজ্ঞান অনুসারে সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবী নিজেদের কক্ষপথে পরিক্রমণ করতে করতে যখন চাঁদের কেন্দ্র, পৃথিবীর কেন্দ্র এবং সূর্যের কেন্দ্র একই সরলরেখায় অবস্থান করে, তখন সেই অবস্থানকে সিজিগি বলা হয় ।

৩.৬ নদীর অবঘর্ষ বলতে কি বোঝো?

উত্তর: নদীর অবঘর্ষ বলতে বোঝায় নদীর পানির স্রোতের কারণে নদীর তলদেশ ও দুই তীরের মাটি বা শিলার ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়া। এটি নদীর ক্ষয়কার্যের প্রধান প্রক্রিয়াগুলোর মধ্যে একটি। নদীর প্রবাহিত জল তার সাথে পাথর, বালুকণা ও কাঁকর নিয়ে প্রবাহিত হওয়ার ফলে নদীর তলদেশ এবং তীর ক্রমাগত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।

অথবা, অ্যালবেডোর সংজ্ঞা দাও।

উত্তর: “কোনো বস্তু বা পৃষ্ঠের ওপর আপতিত মোট সূর্যালোকের মধ্যে থেকে প্রতিফলিত অংশের অনুপাতকে অ্যালবেডো বলে।”

অ্যালবেডো হলো সূর্যালোকের ভগ্নাংশ যা কোনও বস্তু বা পৃষ্ঠ দ্বারা প্রতিফলিত হয়। 

অ্যালবেডো হলো জলবায়ু বিজ্ঞান এবং জ্যোতির্বিদ্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিমাপ। 

বিভাগ ‘ঘ’

8. সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক উত্তর দাও (বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষণীয়):

৪.১ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন পদ্ধতিগুলি বর্ণনা করো

উত্তর: বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বলতে বোঝায় বর্জ্য সংগ্রহ, পরিবহন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পুনর্ব্যবহার ও নিরাপদভাবে নিষ্পত্তি করার প্রক্রিয়া। এটি পরিবেশ দূষণ রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পদ্ধতিসমূহ:

1. ভূগর্ভস্থ নিষ্পত্তি:

বর্জ্য একটি নির্দিষ্ট স্থানে জমা করে মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।

আধুনিক ল্যান্ডফিলের ক্ষেত্রে লাইনিং ব্যবহার করা হয় যাতে বিষাক্ত পদার্থ মাটিতে মিশে না যায়।

এটি সবচেয়ে প্রচলিত কিন্তু স্থানসঙ্কুল পদ্ধতি।

2. দহন:

বর্জ্য উচ্চ তাপে পোড়ানো হয়, যা ভলিউম কমায় ও শক্তি উৎপাদনেও সহায়ক হতে পারে।

এই প্রক্রিয়ায় বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষ ফিল্টার ব্যবহার করা হয়।

চিকিৎসা বর্জ্য ও বিপজ্জনক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কার্যকর।

3. পুনর্ব্যবহার:

পুনরায় ব্যবহারযোগ্য উপকরণ (যেমন: কাগজ, প্লাস্টিক, ধাতু, কাঁচ) সংগ্রহ করে পুনরায় প্রক্রিয়াজাত করা হয়।

এটি সম্পদের অপচয় রোধ করে ও পরিবেশ দূষণ কমায়।

4. কম্পোস্টিং:

জৈব বর্জ্য (যেমন: সবজির খোসা, পচনশীল বর্জ্য) পচিয়ে সার তৈরি করা হয়।

এটি কৃষি ও উদ্যানচর্চায় ব্যবহার করা হয় এবং মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে।

5. বর্জ্য পৃথকীকরণ:

এই প্রক্রিয়ায় পচনশীল, অপচনশীল ও দূষিত বর্জ্যকে পৃথক করা হয় । বর্জ্য পৃথকীকরণের মাধ্যমে জৈব ভঙ্গুর বর্জ্যকে পুনর্নবীকরণ প্রক্রিয়ায় মিশ্রসারে পরিণত করে কৃষিকাজে হিউমাস হিসাবে ব্যবহার করা যায় । আবার, জৈব অভঙ্গুর বর্জ্যকে সুষ্ঠু বিলিব্যবস্থা ও পুনর্নবীকরণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে । বর্তমানে কেরালায় প্লাস্টিকের দ্রব্য থেকে অশোধিত তেল উৎপাদন করা হচ্ছে।

অথবা, ভাগীরথী / হুগলী নদীর উপর বর্জ্যের প্রভাব আলোচনা করো।

উত্তর: (i) ভাগীরথী-হুগলী নদীর দুই তীরে গড়ে উঠেছে হুগলী শিল্পাঞ্চল, ফলতা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, হলদিয়া শিল্পাঞ্চল ও অসংখ্য কলকারখানা । এই সকল শিল্পকারখানার বিশাল পরিমাণ বর্জ্য ও দূষিত জল অনবরত এই নদীতে এসে পড়ছে ।

(ii) এই নদীর তীর বরাবর গড়ে ওঠা ঘন জনবসতির পয়ঃপ্রণালীর দূষিত বর্জ্য জল ক্রমাগত নদীতে মিশেছে ।

(iii) নদীর তীরে গড়ে ওঠা ট্যানারি, বস্ত্র ও রাসায়নিক শিল্পের বর্জ্যসমূহ এই নদীতে নির্গত হচ্ছে ।

(iv) বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের বর্জ্য যেমন ফুল, মালা, কাঠামো প্রভৃতি এবং মৃত পশু এই নদীতে ফেলা হচ্ছে ।

(v) গবাদি পশুর স্নান, কাপড় ধোয়া ও কাচা প্রভৃতিও এই নদীতে হয় বলে ভাগীরথী-হুগলী নদীর জলদূষণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে ।

(vi) নদীতে যন্ত্রচালিত জলযান চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় পোড়া মোবিল, ডিজেল, পেট্রোল প্রভৃতি নদীর জলে মিশে জলদূষণ ঘটাচ্ছে।

(vii) এই প্রকার দূষণের ফলে নদীর জলে কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে, যা রাসায়নিক দূষণের মাত্রাকেও হার মানিয়েছে । ভাগীরথী হুগলী নদীতে বর্জ্যের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এর প্রভাবে —

(viii) ২০০৬ সালের পরে এই নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে জলবাহিত রোগ যেমন, আমাশয়, কলেরা, হেপাটাইটিস প্রভৃতি রোগের পরিমাণ প্রায় ৬৬% বৃদ্ধি পেয়েছে ।

৪.২ উপগ্রহ চিত্রের প্রধান তিনটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

উত্তর: উপগ্রহ চিত্রের প্রধান তিনটি বৈশিষ্ট্য হলো:

১) দূর সংবেদন ব্যবস্থা: কৃত্রিম উপগ্রহে সংস্থাপিত সংবেদকের সাহায্যে দূর থেকে বস্তুর সংস্পর্শে না এসেও সংগৃহীত তথ্য থেকে উপগ্রহ চিত্র পাওয়া যায়।

২) উন্নত প্রযুক্তি: এটি একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর চিত্র।

৩) স্কেল: এই চিত্র সুনির্দিষ্ট স্কেলে তৈরি করা হয়।

অথবা, ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের তিনটি প্রধান সুবিধা আলোচনা করো।

উত্তর: -ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের তিনটি প্রধান সুবিধা হলো:

1. ভূপ্রকৃতির বিশদ উপস্থাপনা:

এই মানচিত্রে পাহাড়, মালভূমি, সমভূমি, উপত্যকা, নদী ইত্যাদি বিভিন্ন ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করা হয়।

এটি ভূগোলবিদ, পরিবেশবিদ এবং ভূ-অভিযান গবেষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে।

2. পরিবেশ ও ভূমি ব্যবস্থাপনায় সহায়ক:

কৃষি, বন ব্যবস্থাপনা, নগর পরিকল্পনা এবং প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবহারের জন্য এই মানচিত্র গুরুত্বপূর্ণ। বন্যা, ভূমিধস ও মরুকরণ প্রতিরোধের পরিকল্পনায় সহায়তা করে।

3. প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা:

ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা, বন্যাপ্রবণ অঞ্চল বা ভূমিধসপ্রবণ স্থান চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।

দুর্যোগ-পরবর্তী পুনরুদ্ধার ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখে।

৪.৩ অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদের সৃষ্টি চিত্রসহ সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: যখন কোনো নদী তার সুগঠিত দুটি বাঁকের মধ্যবর্তী অংশ ছেদ করে সরলপথে প্রবাহিত হয় তখন এ ধরনের হ্রদ সৃষ্টি হয়। সাধারণত নদীর প্রবাহ পথে প্লাবনভূমি অঞ্চলে এ ধরনের হ্রদ দেখা যায়। বন্যার সময় বাঁকের ভাঁজগুলি বেশি পরিমাণে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং একসময় স্বাভাবিকভাবেই নদীটি একটি সংক্ষিপ্ত সরলপথ সৃষ্টি করে নেয়। বাঁকা পরিত্যক্ত পথটি অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ হিসেবে গড়ে ওঠে।

অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদের সৃষ্টি চিত্র

অথবা, আয়ন বায়ু ও পশ্চিমা বায়ুর মধ্যে তিনটি প্রধান পার্থক্য উল্লেখ করো

উত্তর:

আয়নবায়ুপশ্চিমাবায়ু
(১) এটি উষ্ণ মণ্ডলের নিয়ত বায়ুপ্রবাহ।(১) এটি নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডলের নিয়ত বায়ুপ্রবাহ।
(২) আয়নবায়ুর প্রভাবে খুব কম বৃষ্টিপাত হয়।(২) পশ্চিমাবায়ুর প্রভাবে অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টিপাত হয়।
(৩) আয়নবায়ুর প্রভাবে যতটুকু বৃষ্টিপাত হয় তা মহাদেশের পূর্বভাগে সীমাবদ্ধ থাকায় এই বায়ুর গতিপথে মহাদেশের পশ্চিমভাগে বড় বড় ক্রান্তীয় মরুভূমির সৃষ্টি হয়েছে।(৩) পশ্চিমাবায়ুর প্রভাবে মহাদেশের পশ্চিমভাগে প্রবল বৃষ্টিপাত হয় এবং পূর্বভাগে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশ কমে যায় । তাই পশ্চিমাবায়ুর গতিপথে মহাদেশের পূর্বভাগে নাতিশীতোষ্ণ তৃণভূমির সৃষ্টি হয়েছে।
(৪) আয়নবায়ু কিছুটা পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়।(৪) পশ্চিমাবায়ু কিছুটা পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়।
৪.৪ ভারতের জলবায়ুর উপর ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত ও পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাব উল্লেখ করো।

উত্তর: ভারতের জলবায়ুর উপর ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় ও পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাব উল্লেখ করা হলো—

(ক) ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব:

১. উপকূলীয় অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত করে – বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে উৎপন্ন ঘূর্ণিঝড় সাধারণত ভারতের পূর্ব ও পূর্ব-দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানে, যেমন পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু।

২. প্রবল বৃষ্টিপাত ও বন্যা সৃষ্টি করে – এই ঘূর্ণিঝড় প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে বন্যার সৃষ্টি করে, যা কৃষি ও জীবনযাত্রার ক্ষতি করে।

3. হাওয়ার গতিবেগ বেশি থাকে – ঘূর্ণিঝড়ের সময় ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকে, যা ঘরবাড়ি, গাছপালা ও বিদ্যুৎ সংযোগ ধ্বংস করে।

4. খরার হাত থেকে রক্ষা করে – কিছু ক্ষেত্রে এই ঝড় আর্দ্রতা বয়ে এনে খরাপ্রবণ অঞ্চলে বৃষ্টিপাত ঘটায়।

(খ) পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাব:

১.উত্তর-পশ্চিম ভারতের জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটায় – শীতকালে কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ ও পাঞ্জাবে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা প্রবেশ করে বৃষ্টিপাত ও তুষারপাত ঘটায়।

২. রবি ফসলের জন্য উপকারী – বিশেষত গম ও সর্ষে চাষের জন্য এই বৃষ্টিপাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

3. শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি করে – এই ঝঞ্ঝা ঠান্ডা বাতাস বয়ে আনে, ফলে উত্তরের রাজ্যগুলিতে শীতের প্রকোপ বাড়ে।

4. ঝড়ো হাওয়া সৃষ্টি করতে পারে – কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটি প্রবল হাওয়া ও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে ক্ষতি করতে পারে।

অথবা, পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষি উন্নতির কারণগুলি আলোচনা করো।

উত্তর:

১। নিবিড় কৃষি পদ্ধতি:

কৃষিজমির তুলনায় মােট জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় এখানে নিবিড় পদ্ধতিতে কৃষিকাজ করা হয়। ফলে হেক্টর প্রতি কৃষি উৎপাদন এখানে অন্যান্য রাজ্য অপেক্ষা বেশি।

২। বিভিন্ন ধরনের ফসলের চাষ:

রাজ্য দুটির মােট আয়তনের প্রায় 85% কৃষিকার্যে নিযুক্ত জমিতে, রাজ্য দুটির প্রায় 70% মানুষ সারা বছর ধরে বিভিন্ন ফসলের চাষে নিযুক্ত থাকে।পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার যে সমস্ত জমি রয়েছে শুধুমাত্র চাষ করা হয় না বছরের বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করা হয়। যার ফলে এখানকার ফসল উৎপাদনের পরিমাণ অনেক বেশি। 

৩। সবুজ বিপ্লব:

পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা রাজ্যের কৃষি উন্নতির সবচাইতে বড় কারণ হল সবুজ বিপ্লব। ১৯৬৬ সাল থেকে পাঞ্জাব-হরিয়ানায় উচ্চফলনশীল গমের বীজ ব্যবহার করে এবং কৃষিতে আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা গ্রহণ করে গম ও অন্যান্য ফসল উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়। যার ধারাবাহিকতা এখনও চলছে।

বিভাগ ‘ঙ’

(দৃষ্টিহীন পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে চিত্রাঙ্কন আবশ্যিক নয়)

৫। ৫.১ যে কোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও:

৫.১.১. ট্রপোস্ফিয়ার ও স্ট্রাটোস্ফিয়ার স্তরের বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।

উত্তর: ট্রপোস্ফিয়ার ও স্ট্রাটোস্ফিয়ার স্তরের বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করা হলো—

(১) ট্রপোস্ফিয়ার:

অবস্থান:

এটি বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে নিম্ন স্তর এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে গড়ে ৮-১৮ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত।

মেরু অঞ্চলে এর উচ্চতা কম (প্রায় ৮ কিমি) এবং বিষুব অঞ্চলে বেশি (প্রায় ১৮ কিমি)।

বৈশিষ্ট্য:

1. জলবায়ুর প্রধান কার্যকলাপ ঘটে – এই স্তরেই বৃষ্টিপাত, ঝড়, তুষারপাত, মেঘ গঠন ইত্যাদি আবহাওয়াজনিত ঘটনা ঘটে।

2. তাপমাত্রা হ্রাস পায় – উচ্চতার সাথে সাথে প্রতি ১ কিমিতে গড়ে ৬.৫°C তাপমাত্রা কমে।

3. গ্যাসের ঘনত্ব বেশি – বায়ুমণ্ডলের মোট ভরের প্রায় ৭৫% এই স্তরে থাকে এবং নাইট্রোজেন (৭৮%), অক্সিজেন (২১%) সহ বিভিন্ন গ্যাস পাওয়া যায়।

4. জলীয় বাষ্প ও ধূলিকণার আধিক্য – এই স্তরে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ও ধূলিকণা থাকে, যা মেঘ গঠন ও বৃষ্টিপাতের জন্য প্রয়োজনীয়।

5. ট্রপোপজ দ্বারা শেষ হয় – ট্রপোস্ফিয়ার ও স্ট্রাটোস্ফিয়ারের মধ্যবর্তী স্তরকে ট্রপোপজ বলে, যেখানে তাপমাত্রা স্থিতিশীল হয়ে যায়।

(২) স্ট্রাটোস্ফিয়ার:

অবস্থান:

এটি ট্রপোস্ফিয়ারের উপরের স্তর এবং সাধারণত ১৮ কিমি থেকে ৫০ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত।

বৈশিষ্ট্য:

1. ওজোন স্তর বিদ্যমান – এই স্তরে ওজোন গ্যাস পাওয়া যায়, যা সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি (UV Rays) শোষণ করে।

2. তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় – উচ্চতার সাথে সাথে এই স্তরে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়, কারণ ওজোন গ্যাস সূর্যের বিকিরণ শোষণ করে।

3. আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটে না – এখানে বৃষ্টিপাত, ঝড় বা জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি নেই, তাই বায়ু শান্ত থাকে, যা বিমান চলাচলের জন্য উপযোগী।

4. ধূলিকণার পরিমাণ কম – এই স্তরে জলীয় বাষ্প বা ধূলিকণা প্রায় থাকে না, তাই এটি স্বচ্ছ ও পরিষ্কার।

5. স্ট্রাটোপজ দ্বারা শেষ হয় – স্ট্রাটোস্ফিয়ার ও মেসোস্ফিয়ারের সংযোগস্থল হলো স্ট্রাটোপজ, যেখানে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ হয়ে যায়।

৫.১.২ চিত্রসহ জোয়ারভাটা সৃষ্টির কারণগুলি ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: জোয়ার-ভাটা সৃষ্টির কারণ ও ব্যাখ্যা (চিত্রসহ)

জোয়ার (High Tide): সমুদ্রের জলস্তর যখন স্বাভাবিক অবস্থার তুলনায় উঁচু হয়ে উপকূলে উঠে আসে, তখন তাকে জোয়ার বলে।

ভাটা (Low Tide): সমুদ্রের জলস্তর যখন নিচে নেমে যায়, তখন তাকে ভাটা বলে।

জোয়ার-ভাটা সৃষ্টির প্রধান কারণসমূহ:

১. চন্দ্র ও সূর্যের মহাকর্ষীয় আকর্ষণ

চাঁদের অভিকর্ষ শক্তি পৃথিবীর জলকে আকর্ষণ করে, ফলে চাঁদের বিপরীত পাশে ও সামনের দিকে জল উঁচু হয়ে জোয়ার সৃষ্টি হয়।

সূর্যের অভিকর্ষ শক্তিও জোয়ার-ভাটায় প্রভাব ফেলে, তবে চাঁদের প্রভাব বেশি।

২. পৃথিবীর ঘূর্ণন গতি

পৃথিবী তার অক্ষের চারদিকে ঘূর্ণন করার ফলে সমুদ্রজল সঞ্চালিত হয়, যা জোয়ার-ভাটাকে প্রভাবিত করে।

৩. চন্দ্র ও সূর্যের অবস্থান অনুযায়ী জোয়ারের ধরন

পূর্ণিমা ও অমাবস্যায় (Spring Tide): চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী একই সরলরেখায় থাকলে সবচেয়ে উঁচু জোয়ার (Spring Tide) হয়।

অর্ধচন্দ্র অবস্থায় (Neap Tide): চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী যখন সমকোণে থাকে, তখন দুর্বল জোয়ার (Neap Tide) হয়।

জোয়ার-ভাটার চিত্র

৫.১.৩ হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট তিনটি প্রধান ভূমিরূপ চিত্র ও উদাহরণ সহযোগে আলোচনা করো।

উত্তর: হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট তিনটি প্রধান ভূমিরূপ চিত্র ও উদাহরণসহ-

১। সার্ক: পার্বত্য হিমবাহের মস্তক দেশে অর্থাৎ উৎস ক্ষেত্রে হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে আরামকেদারার মতাে দেখতে যে ভূমিরূপ গঠিত হয় তাকে বলে সার্ক বা করি। এটি ফ্রান্সে সার্ক, ইংল্যান্ডে করি; জার্মানিতে কার ওয়েলসে ঝুম, স্ক্যান্ডিনেভিয়ায় বটন, নরওয়ে বন নামে পরিচিত।

গঠন: 

(i) খাড়া দেওয়াল: এটি হিমবাহের উৎপাটন প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত। 

(ii) বেসিন: মধ্যভাগে অবঘর্ষ ও উৎপাটন প্রক্রিয়া সৃষ্ট শর্ত বেসিন। 

(iii) চৌকাঠ: কম ক্ষয় দ্বারা সৃষ্ট সম্মুখের চৌকাঠের ন্যায় উঁচু অংশ থাকে।

উদাহরণ: অ্যান্টার্কটিকা ওয়ালকট নামক সার্ক।

সার্ক বা করি চিত্র

2। ‘U’ আকৃতির উপত্যকা বা হিমদ্রোণী: পার্বত্য অঞ্চলে পূর্বেকার নদী উপত্যকাগুলি হিমবাহের ঘর্ষণে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে U আকৃতি প্রাপ্ত হলে যে ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়, তাকে বলে হিমদ্রোণী। 

গঠন: 

অনেক সময় U আকৃতির উপত্যকায় শিলাস্তরের অসমান ক্ষয়ের ফলে গঠিত হয় হিমসােপান। এর তিনটি অংশ থাকে। i. রাইজার; ii. রিগ্যাল; ii. ট্রেড।

বৈশিষ্ট্য: 

(i) অনেক সময় এইরকম গভীর উপত্যকায় হিমবাহ গলাজল জমে হ্রদ তৈরি হয়। 

(ii) হিমদ্ৰোণীতে হিমসােপান দেখা যায়। 

উদাহরণ: আমেরিকার ইয়ােসেমিতি উপত্যকা

আকৃতির উপত্যকা বা হিমদ্রোণী চিত্র

3। ঝুলন্ত উপত্যকা: অনেক সময় একটি বৃহৎ প্রধান হিমবাহের সঙ্গে কয়েকটি ছােটো ছােটো উপ-হিমবাহ এসে মিলিত হয়। এরূপ স্থলে প্রধান হিমবাহ সরে গেলে উপ-হিমবাহগুলি উপত্যকা প্রধান হিমবাহের উপর ঝুলন্ত অবস্থায় আছে বলে মনে হয়, একে ঝুলন্ত উপত্যকা বলে। 

বৈশিষ্ট্য: 

(i) উপ-হিমবাহগুলি প্রধান হিমবাহ উপত্যকার উপর ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে।

(ii) ঝুলন্ত উপত্যকায় জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়।

উদাহরণ: (i) বদ্রীনাথের নিকট ঋষিগঙ্গা।

ঝুলন্ত উপত্যকা চিত্র

৫.১.৪ পৃথিবীর নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় এবং মেরুদেশীয় উচ্চচাপ বলয় সৃষ্টির কারণগুলি চিত্রসহ ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: পৃথিবীর নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় এবং মেরুদেশীয় উচ্চচাপ বলয় সৃষ্টির কারণগুলি ব্যাখ্যা করা হলো:

১. নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়:

নিরক্ষীয় অঞ্চলে সূর্যের খাড়া তাপের কারণে ভূমি ও বায়ুমণ্ডল অত্যধিক গরম হয়ে যায়।

উত্তপ্ত বায়ু হালকা হয়ে উপরে উঠে যায়, ফলে এই অঞ্চলে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়।

এই অঞ্চলকে “নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়” বা “ডোলড্রামস” বলা হয়।

নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় চিত্র

২. মেরুদেশীয় উচ্চচাপ বলয়:

মেরুদেশীয় অঞ্চলে সূর্যালোক খুব কম আসে, ফলে তাপমাত্রা অনেক কম থাকে।

ঠান্ডা বায়ু ভারী হয়ে নেমে আসে, যার ফলে উচ্চচাপ সৃষ্টি হয়।

একে “মেরুদেশীয় উচ্চচাপ বলয়” বলা হয়।

মেরুদেশীয় উচ্চচাপ বলয় চিত্র

৫.২ যে কোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও:

৫.২.১ ভারতের গম চাষের অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশের বর্ণনা দাও।

উত্তর: ভারতে গম চাষের অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশ:

ভারতে গম প্রধানত রবি ফসল হিসেবে চাষ করা হয়। এটি শীতপ্রধান ফসল এবং নির্দিষ্ট প্রাকৃতিক পরিবেশে ভালো ফলন দেয়।

১. জলবায়ু:

গমের জন্য মিশ্রিত জলবায়ু প্রয়োজন।

বপনের সময় (অক্টোবর-নভেম্বর): ঠান্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়া দরকার।

পাকার সময় (মার্চ-এপ্রিল): উষ্ণ ও শুকনো আবহাওয়া প্রয়োজন।

গম গাছ বৃদ্ধির জন্য ১০°-১৫°C এবং পরিপক্ব হওয়ার জন্য ২১°-২৬°C তাপমাত্রা উপযোগী।

২. বৃষ্টি:

গম চাষের জন্য ৫০-১০০ সেমি পরিমাণ মাঝারি বৃষ্টিপাত প্রয়োজন।

খুব বেশি বৃষ্টি গমের ফলনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

গম চাষের জন্য সেচের সুবিধা থাকলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।

৩. মাটি:

দোআঁশ এবং জলধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন মাটি গম চাষের জন্য উপযুক্ত।

গঙ্গা-যমুনা উপত্যকার অ্যালুভিয়াল মাটি গম চাষের জন্য সবচেয়ে ভালো।

মাটির pH ৬.০-৭.৫ হলে গমের ভালো উৎপাদন হয়।

৪. ভূপ্রকৃতি:

সমতল ও উর্বর ভূমি গম চাষের জন্য আদর্শ।

উঁচু ও অসমতল অঞ্চলে গম চাষ কম হয়।

উপসংহার:

ভারতে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ গম উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত, কারণ এই রাজ্যগুলির প্রাকৃতিক পরিবেশ গম চাষের জন্য উপযোগী।

৫.২.২ ভারতের কৃষ্ণ মৃত্তিকার প্রধান আঞ্চলিক বন্টন, সৃষ্টি এবং বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।

উত্তর: ভারতের কৃষ্ণ মৃত্তিকা: আঞ্চলিক বণ্টন, সৃষ্টি ও বৈশিষ্ট্য

১. কৃষ্ণ মৃত্তিকার আঞ্চলিক বণ্টন:

ভারতে কৃষ্ণ মৃত্তিকা মূলত দাক্ষিণাত্য মালভূমির কৃষ্ণভূমি অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত। প্রধানত নিম্নলিখিত রাজ্যগুলিতে এটি পাওয়া যায়—

  • মহারাষ্ট্র (সর্বাধিক বিস্তৃত)
  • মধ্যপ্রদেশ
  • গুজরাট
  • ছত্তিসগড়
  • অন্ধ্রপ্রদেশ
  • তামিলনাড়ু ও কর্ণাটকের কিছু অংশ

২. কৃষ্ণ মৃত্তিকার সৃষ্টি:

  • কৃষ্ণ মৃত্তিকা মূলত আগ্নেয় শিলার (Basalt rock) পরিণতির ফলে গঠিত।
  • ডেকান মালভূমির লাভাসৃষ্ট অঞ্চল এই মাটির প্রধান উৎস।
  • দীর্ঘকাল ধরে আবহাওয়া ও ক্ষয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই মৃত্তিকা তৈরি হয়েছে।

৩. কৃষ্ণ মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য:

  • গঠন: দানাদার ও আঠালো প্রকৃতির।
  • রঙ: গাঢ় কালো বা ধূসর-কালো।
  • জলধারণ ক্ষমতা: উচ্চ (কারণ এতে মাটির কণাগুলি ঘনভাবে গঠিত)।
  • উর্বরতা: অত্যন্ত উর্বর এবং কটন বা তুলা চাষের জন্য উপযুক্ত।
  • খনিজ উপাদান: এতে প্রচুর পরিমাণে লৌহ, চুন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশ বিদ্যমান।
  • ফাটল সৃষ্টি: শুষ্ক মৌসুমে মাটিতে ফাটল ধরে, যা স্বাভাবিক জল-পরিবাহে সহায়তা করে।

উপসংহার:

ভারতে কৃষ্ণ মৃত্তিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি তুলা চাষের জন্য আদর্শ। তাই একে “রেগুর মাটি” বা “তুলা মাটি” বলা হয়। এছাড়া, এটি ডাল, তেলবীজ ও গম চাষের জন্যও উপযোগী।

৫.২.৩ ভারতের নগরায়ণের প্রধান পাঁচটি সমস্যা আলোচনা করো।

উত্তর: ভারতের নগরায়ণের প্রধান পাঁচটি সমস্যা

ভারতে নগরায়ণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু এর ফলে বিভিন্ন সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। প্রধান পাঁচটি সমস্যা নিম্নে আলোচনা করা হলো—

১. বসতির সংকট ও বস্তির বৃদ্ধি:

  • দ্রুত নগরায়ণের ফলে পর্যাপ্ত বাসস্থান তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না।
  • শহরের দরিদ্র জনগোষ্ঠী বস্তিতে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে।
  • বস্তিগুলিতে বিশুদ্ধ পানি, নিকাশী ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশের অভাব থাকে।

২. যানজট ও পরিবহন সমস্যা:

  • জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে যানবাহনের চাপ বেড়ে যাচ্ছে।
  • অপরিকল্পিত সড়ক ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার অভাবে যানজটের সমস্যা প্রকট।
  • বায়ুদূষণ ও সময় অপচয়ের মতো সমস্যাও তৈরি হয়।

৩. পানি ও নিকাশী সমস্যার বৃদ্ধি:

  • বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নগর এলাকায় অপর্যাপ্ত হয়ে পড়ছে।
  • অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে নর্দমা ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা দুর্বল।
  • এতে জলাবদ্ধতা, দূষণ ও স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দেয়।

৪. বায়ু ও শব্দদূষণ:

  • যানবাহনের ধোঁয়া, কলকারখানার বর্জ্য ও নির্মাণকাজের কারণে বায়ুদূষণ বাড়ছে।
  • যানবাহনের হর্ন, কলকারখানার শব্দ ও জনসমাগমের কারণে শব্দদূষণও বাড়ছে, যা মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে।

৫. বেকারত্ব ও অপরাধের বৃদ্ধি:

  • গ্রাম থেকে শহরে অভিবাসনের ফলে কাজের সুযোগের অভাব দেখা দেয়।
  • কর্মসংস্থান না পেয়ে অনেকেই বেকার থেকে যায়, যা অপরাধ, চুরি ও সামাজিক অস্থিরতা বাড়িয়ে তোলে।

উপসংহার:

ভারতে নগরায়ণ প্রয়োজনীয় হলেও পরিকল্পনাহীন নগরায়ণ বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করছে। এগুলো সমাধানের জন্য উন্নত নগর পরিকল্পনা, পরিবহনব্যবস্থা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

৫.২.৪ ভারতের তথ্য প্রযুক্তি শিল্পের উন্নয়নের কারণগুলি আলোচনা করো।

উত্তর: ভারতের তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) শিল্পের উন্নয়নের কারণগুলি–

ভারত বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) শিল্পের কেন্দ্র হিসেবে পরিণত হয়েছে। এই শিল্পের দ্রুত উন্নতির পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে—

১. দক্ষ জনশক্তি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার উন্নতি:

  • ভারতে প্রচুর প্রশিক্ষিত প্রকৌশলী ও আইটি বিশেষজ্ঞ রয়েছে।
  • IIT, NIT, IIIT, BITS Pilani-এর মতো প্রযুক্তি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উচ্চমানের দক্ষ পেশাদার তৈরি করছে।
  • ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকায় ভারতীয়রা আন্তর্জাতিক বাজারে সহজেই প্রতিযোগিতা করতে পারছে।

২. তুলনামূলক কম উৎপাদন ব্যয়:

  • উন্নত দেশগুলোর তুলনায় ভারতে আইটি সেবা ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের খরচ কম।
  • বিদেশি কোম্পানিগুলো আউটসোর্সিং এর জন্য ভারতকে বেছে নেয়।

৩. সরকারি নীতি ও সহযোগিতা:

  • “ডিজিটাল ইন্ডিয়া”, “মেক ইন ইন্ডিয়া”-এর মতো সরকারি উদ্যোগ আইটি খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
  • বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (SEZ) গঠন করে কর ছাড় ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
  • STPI (Software Technology Parks of India) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।

৪. আইটি হাব ও প্রযুক্তি পার্কের বিস্তার:

  • ব্যাঙ্গালোর, হায়দরাবাদ, পুনে, চেন্নাই, গুরগাঁও, নইডা-র মতো শহরগুলো আইটি হাব হিসেবে গড়ে উঠেছে।
  • এসব অঞ্চলে বিশ্বমানের আইটি কোম্পানি, গবেষণা কেন্দ্র ও স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে উঠেছে।

৫. বহুজাতিক কোম্পানির বিনিয়োগ:

  • বহুজাতিক ও দেশীয় কোম্পানির বিনিয়োগ এই খাতকে শক্তিশালী করেছে।
  • বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভারতীয় সফটওয়্যার, BPO (Business Process Outsourcing), ক্লাউড কম্পিউটিং প্রযুক্তির ওপর আস্থা রাখছে।

উপসংহার:

ভারতের তথ্য প্রযুক্তি শিল্পের দ্রুত বৃদ্ধি উন্নত শিক্ষা, দক্ষ জনশক্তি, সরকারি নীতি, প্রযুক্তি হাব ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের কারণে সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতে এই শিল্প প্রযুক্তিতে আরও প্রসার লাভ করবে।

বিভাগ- ‘চ’ 

৬. প্রশ্নপত্রের সাথে প্রদত্ত ভারতের রেখায়ানচিত্রে নিম্নলিখিতগুলি উপযুক্ত প্রতীক ও নামসহ চিহ্নিত করে মানচিত্রটি উত্তরপত্রের সঙ্গে জুড়ে দাও:

৬.১ দক্ষিণ ভারতের একটি ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা অলি
৬.২ পূর্ব ভারতের একটি ম্যানগ্রোভ অরণ্য অঞ্চল
৬.৩ উত্তর ভারতের একটি ইক্ষু উৎপাদক অঞ্চল
৬.৪ সাতপুরা পর্বত
৬.৫ মহানদী
৬.৬ কোল্পেরু- হ্রদ
৬.৭ সর্বাধিক বৃষ্টিপাতযুক্ত স্থান
৬.৮ চন্ডীগড়
৬.৯ পূর্ব ভারতের একটি ভারী ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পকেন্দ্র
৬.১০ নভসেবা বন্দর

MadhyamikQuestionPapers.com এ আপনি আরও বিভিন্ন বছরের প্রশ্নপত্রের উত্তরও পেয়ে যাবেন। আপনার মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে এই গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ কেমন লাগলো, তা আমাদের কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আরও পড়ার জন্য, জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য এবং পরীক্ষায় ভালো ফল করার জন্য MadhyamikQuestionPapers.com এর সাথেই থাকুন।

Tag Post :
Share This :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *