আপনি কি ২০২৬ সালের মাধ্যমিক Model Question Paper 16 এর সমাধান খুঁজছেন? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। এই আর্টিকেলে আমরা WBBSE-এর বাংলা ২০২৬ মাধ্যমিক Model Question Paper 16 -এর প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক ও বিস্তৃত সমাধান উপস্থাপন করেছি।
প্রশ্নোত্তরগুলো ধারাবাহিকভাবে সাজানো হয়েছে, যাতে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা সহজেই পড়ে বুঝতে পারে এবং পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ব্যবহার করতে পারে। বাংলা মডেল প্রশ্নপত্র ও তার সমাধান মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত মূল্যবান ও সহায়ক।
MadhyamikQuestionPapers.com, ২০১৭ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষার সমস্ত প্রশ্নপত্র ও সমাধান সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করে আসছে। ২০২৬ সালের সমস্ত মডেল প্রশ্নপত্র ও তার সঠিক সমাধান এখানে সবার আগে আপডেট করা হয়েছে।
আপনার প্রস্তুতিকে আরও শক্তিশালী করতে এখনই পুরো প্রশ্নপত্র ও উত্তর দেখে নিন!
Download 2017 to 2024 All Subject’s Madhyamik Question Papers
View All Answers of Last Year Madhyamik Question Papers
যদি দ্রুত প্রশ্ন ও উত্তর খুঁজতে চান, তাহলে নিচের Table of Contents এর পাশে থাকা [!!!] চিহ্নে ক্লিক করুন। এই পেজে থাকা সমস্ত প্রশ্নের উত্তর Table of Contents-এ ধারাবাহিকভাবে সাজানো আছে। যে প্রশ্নে ক্লিক করবেন, সরাসরি তার উত্তরে পৌঁছে যাবেন।
Table of Contents
Toggle১। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো:
১.১ “সে ঝোলার ভিতরে শুধু একটা বই,” বইটি হল-
(ক) রামায়ণ,
(খ) মহাভারত,
(গ) গীতা,
(ঘ) বাইবেল
উত্তর: (গ) গীতা
১.২ “লল্লাটের লেখা তো খণ্ডাবে না।”- বক্তা কে?-
(ক) জগদীশবাবু,
(খ) রামদাস,
(গ) গিরীশ মহাপাত্র,
(ঘ)অপূর্ব
উত্তর: (গ) গিরীশ মহাপাত্র
১.৩ ‘নদীর বিদ্রোহ’ রচনায় যে সময়ে নদেরচাঁদের প্যাসেঞ্জার ট্রেনের রওনা করানোর কথা আছে, তা হল-
(ক) চারটা পঞ্চান্ন,
(খ) চারটা পঁয়তাল্লিশ,
(গ) চারটা পঁয়ত্রিশ,
(ঘ) চারটা পঁচিশ
উত্তর: (খ) চারটা পঁয়তাল্লিশ
১.৪ আমাদের ডান পাশে
(ক) টাকা,
(খ) বাঁধ,
(গ) ধ্বস,
(ঘ) পথ
উত্তর: (গ) ধ্বস
১.৫ ‘সপ্ত মহাসিন্ধু দোলে’ কোথায়?-
(ক) কপাল তলে,
(খ) নয়নজলে,
(গ) কপোলতলে,
(ঘ) সাগর জলে
উত্তর: (গ) কপোলতলে
১.৬ “গানের, আজ পরেছি গায়ে”-
(ক) বুলেট,
(খ) পোশাক,
(গ) পালক,
(ঘ) বর্ম
উত্তর: (ঘ) বর্ম
১.৭ উনিশ শতকে বত্রিশ হাজার অক্ষর লেখানো যেত-
(ক) পনেরো আনায়,
(খ) বারো আনায়,
(গ) ষোলো আনায়,
(ঘ) দশ আনায়
উত্তর: (খ) বারো আনায়
১.৮ ইংরেজিতে ভেবে তাকে যথাযথ বাংলা অনুবাদের চেষ্টা করলে রচনা হয়-
(ক) উৎকট,
(খ) ভালো,
(গ) নিম্নমান,
(ঘ) অর্থযুক্ত
উত্তর: (ক) উৎকট
১.৯ অলংকারের প্রয়োগ কম থাকা ভালো-
(ক) সংস্কৃত সাহিত্যে,
(খ) সাধারণ সাহিত্যে,
(গ) অনুবাদ সাহিত্যে,
(ঘ) বৈজ্ঞানিক সাহিত্যে
উত্তর: (ঘ) বৈজ্ঞানিক সাহিত্যে
১.১০ ‘নমি পুত্র পিতার চরণে, নিম্নরেখ পদটি হল-
(ক) কর্তৃকারক,
(খ) সম্বন্ধপদ,
(গ) সম্বোধন পদ,
(ঘ) কর্মকারক
উত্তর: (খ) সম্বন্ধপদ
১.১১ অনুসর্গের অপর নাম
(ক) উপসর্গ,
(খ) প্রতিসর্গ,
(গ) পরসর্গ,
(ঘ) অতিসর্গ
উত্তর: (গ) পরসর্গ
১.১২ সমাস হতে গেলে কমপক্ষে ক’টি পদ দরকার?
(ক) তিনটি,
(খ) দুটি,
(গ) চারটি,
(ঘ) পাঁচটি
উত্তর:
১.১৩ ‘ইসাবের সঙ্গে কুস্তি লড়তে তো একেবারেই গররাজি।’- নিম্নরেখ পদটি কোন্ সমাসের উদাহরণ?-
(ক) অব্যয়ীভাব,
(খ) নঞ তৎপুরুষ,
(গ) বহুব্রীহি,
(ঘ) কর্মধারয়
উত্তর: (খ) নঞ তৎপুরুষ
১.১৪ ‘গোরু আকাশে ওড়ে’ শর্ত লঙ্ঘিত হয়েছে-
(ক) আকাঙ্ক্ষা,
(খ) আসত্তি,
(গ) যোগ্যতা,
(ঘ) আকাঙ্ক্ষা ও আসত্তি
উত্তর: (গ) যোগ্যতা
১.১৫ বাক্য পরিবর্তন করলেও বদলায় না
(ক) উদ্দেশ্য,
(খ) ক্রিয়া,
(গ) সমাস,
(ঘ) অর্থ
উত্তর: (ক) উদ্দেশ্য
১.১৬ ‘তপন বিহ্বল দৃষ্টিতে তাকায়।’ এটি কোন্ বাচ্যের উদাহরণ?-
(ক) ভাববাচ্য,
(খ) কর্তৃবাচ্য,
(গ) কর্মবাচ্য,
(ঘ) কর্মকর্তৃবাচ্য
উত্তর: (খ) কর্তৃবাচ্য
১.১৭ ভাববাচ্যের কর্তাকে বলা হয়-
(ক) উক্ত কর্তা,
(খ) অনুক্ত কর্তা,
(গ) অক্ষুণ্ণ কর্তা,
(ঘ) সাধন কর্তা
উত্তর: (খ) অনুক্ত কর্তা
২। কমরেশি ২০টি শব্দে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:
২.১ যে-কোনো চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
২.১.১ “বোবার মতো বসে থাকে।” কার, কেন এই অবস্থা?
উত্তর: “বোবার মতো বসে থাকে।” এখানে তপনের কথা বলা হয়েছে। তপন তার প্রথম প্রকাশিত গল্পটি পড়তে গিয়ে আবিষ্কার করে যে, তার মেসো গল্পটিকে “কারেকশান” করার নামে সম্পূর্ণরূপে নতুন করে লিখে ফেলেছেন। এই আবিষ্কারে তপন প্রচণ্ড মানসিক আঘাত পায় এবং হতাশায় নিশ্চুপ হয়ে যায়। নিজের সৃষ্টিকে সম্পূর্ণ বিকৃত দেখে সে কোনও প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে পারে না, তাই সে বোবার মতো বসে থাকে।
২.১.২ “বা, সত্যি, খুব চমৎকার পুলিশ সেজেছিল হরি!” হরি কীভাবে পুলিশ সেজে অভিনয় করেছিল?
উত্তর: হরিদা নকল পুলিশের সাজে লিচু বাগানে প্রবেশ করে এবং স্কুলের চার ছেলেকে ধরে ফেলে। ছেলেদের ভয় দেখানোর পর মাস্টারমশাই তাদের ছেড়েদেওয়ার জন্য অনুরোধ করলে, হরি আট আনা ঘুষ নিয়ে ছেলেদের ছেড়ে দেন। অর্থাৎ, হরি পুলিশ সেজে এমন ভাবভঙ্গি ও কাজ করেছিলেন যে, প্রথমে সবাই সত্যি পুলিশ ভেবেছিল। তার অভিনয় এতটাই বিশ্বাসযোগ্য ও চমৎকার ছিল যে, পরদিন মাস্টারমশাই জানতে পারলেও তিনি রাগ করার বদলে হরির অভিনয়ের প্রশংসা করেছিলেন।
২.১.৩ গিরীশ মহাপাত্রের পকেটে কী কী পাওয়া যায়?
উত্তর: গিরীশ মহাপাত্রের পকেট থেকে একটি লোহার কম্পাস, একটি কাঠের ফুট-রুল, কয়েকটি বিড়ি, একটি দেশলাই এবং গাঁজা ভরার একটি কলকে পাওয়া গেছিল।
২.১.৪ “ও আমাকে শিখিয়েছে, খাঁটি জিনিস কাকে বলে।” ‘খাঁটি জিনিস’ কী?
উত্তর: পান্নালাল প্যাটেল রচিত গল্পে ইসাব অমৃতকে জিজ্ঞেস করেছিল, তোর বাবা যদি তোকে মারে কী হবে? অমৃত কী জবাব দিয়েছিল জানেন? বলেছিল “কিন্তু আমার তো মা রয়েছে।” – অমৃতের এই কথাটিকেই খাঁটি জিনিস বলা হয়েছে।
২.১.৫ ‘মানুষ কি তাকে রেহাই দিবে?’ কার সম্পর্কে কথাটি বলা হয়েছে?
উত্তর: ‘মানুষ কি তাকে রেহাই দিবে? মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পে ‘মানুষ কি তাকে রেহাই দিবে?’ উক্তিটি নদী সম্পর্কে করা হয়েছে।
২.২ যে-কোনো চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
২.২.১ ‘বৃষ্টিতে ধুয়ে দিল.’ বৃষ্টি এসে কী ধুয়ে দিল?
উত্তর: পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতায় বৃষ্টি এসে কথকের পায়ের দাগ ধুয়ে দিল।
২.২.২ “আমাদের মাথায় বোমারু”- ‘বোমারু’ শব্দটির দ্বারা কবি কোন্ পরিস্থিতির ইশারা দিয়েছেন?
উত্তর: শঙ্খ ঘোষ রচিত ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় ‘বোমারু’ কথাটির দ্বারা কবি যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
২.২.৩ “সেই হোক তোমার সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী।” ‘সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণীটি কী?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘আফ্রিকা’ কবিতায় সভ্যতার শেষ ‘পুণ্যবাণী’-টি হওয়া উচিত ‘ক্ষমা করো’।
২.২.৪ “মোহিত পাইয়া সিন্ধু-ক্লেশ।।” ‘সিন্ধু-ক্লেশ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: সৈয়দ আলাওলের ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতা অনুযায়ী, অচেতন পদ্মাবতীকে দেখে সমুদ্রকন্যা পদ্মার ধারণা হয়েছিল যে, সমুদ্রঝড়ে আক্রান্ত হয়ে নৌকাডুবি হওয়ায় বা সমুদ্রজনিত কষ্ট (সিন্ধু-ক্লেশ) এর ফলে তিনি জ্ঞান হারিয়েছেন।
২.২.৫ কবির গানের গায়ে রক্ত মোছার কারণ কী?
উত্তর: সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও হিংসার যাবতীয় রক্তপাত যা সভ্যতাকে সংকটে নিপতিত করে, কবি কেবল গানকে আশ্রয় করেই তার থেকে মুক্তি খুঁজেছেন। তাই ‘গানের গায়ে’ রক্ত মোছার কথা বলতে গিয়ে তিনি সঙ্গীতের মাধ্যমেই বাস্তব জীবনের সকল হিংসা ও রক্তাক্ততাকে মুছে দিতে চেয়েছেন।
২.৩ যে-কোনো তিনটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
২.৩.১ “আবার তিনি ছুটলেন কালির সন্ধানে।” কেন কালির সন্ধানে ছুটেছিলেন?
উত্তর: লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান কালির সন্ধানে ছুটেছিলেন কারণ চুক্তিপত্র সাক্ষর করার সময় তাঁর দোয়াত কলম থেকে কালি উপুড় হয়ে কাগজে পড়ে গিয়েছিল। নতুন করে লেখার জন্য কালির প্রয়োজন ছিল তাই আবার তিনি ছুটলেন কালির সন্ধানে।
২.৩.২ “আমরা ফেরার পথে কোনও পুকুরে তা ফেলে দিয়ে আসতাম।” বক্তা কেন তা পুকুরে ফেলে দিতেন?
উত্তর: বক্তা স্কুল থেকে ফেরার পথে লেখা কলাপাতাগুলো পুকুরে ফেলে দিতেন কারণ বাইরে যেখানে-সেখানে ফেললে গোরু সেগুলো খেয়ে ফেলতে পারে। গোরুকে অক্ষর খাওয়ানোকে সমাজে পাপ হিসেবে বিবেচনা করা হতো, যেহেতু অক্ষরজ্ঞানহীন মানুষকে “গোমাংস” বলা হতো। তাই এই পাপ ও অমঙ্গল এড়ানোর জন্যই তারা সেগুলো পুকুরে ফেলে দিত।
২.৩.৩ বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধের ভাষা কেমন হওয়া উচিত?
উত্তর: বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধের ভাষা হওয়া উচিত- একটি বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ এমনভাবে লিখতে হবে যাতে তার ভাষা সহজবোধ্য ও দ্ব্যর্থহীন হয়।
২.৩.৪ “তার ফলে তাঁদের চেষ্টা অধিকতর সফল হয়েছে।” ‘তার ফলে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: প্রদর্শিত অনুচ্ছেদে ‘তার ফলে’ বলতে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের একযোগে কাজ করা বোঝানো বা বিশেষ প্রচেষ্টার কথা বলা হয়েছে।
২.৪ যে-কোনো আটটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
২.৪.১ সহযোগী কর্তা কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: কোনো বাক্যে যদি দুই কর্তার মধ্যে সহযোগী ভাব পরিস্ফুট হয় তাহলে কর্তা দুটিকে সহযোগী কর্তা বলা হয়। যেমন – ভাই-বোন মিলে ঘর-দোর পরিষ্কার করছে।
২.৪.২ নিম্নরেখ পদটির কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করো চিঠি পকেটেই ছিল।
উত্তর: অধিকরণ কারক, সপ্তমী বিভক্তি।
২.৪.৩ কোন্ কোন্ সমাসের ক্ষেত্রে অলোপ হয়?
উত্তর: কর্মধারয়, বহুব্রীহি ও তৎপুরুষ সমাসে অলোপ বেশি লক্ষ করা যায়।
কখনও কখনও দ্বিগু সমাসে-ও অলোপ দেখা যায়।
২.৪.৪ ‘চরণ কমলের ন্যায়’ ব্যাসবাক্যটি সমাসবদ্ধ করে সমাসের নাম লেখো।
উত্তর: ‘চরণ কমলের ন্যায়’ ব্যাসবাক্যটির সমাসবদ্ধ পদ হল চরণকমল এবং সমাসের নাম হল উপমিত কর্মধারয় সমাস।
২.৪.৫ বিশেষণ ও বিশেষ্য যোগে একটি বিশেষ্যখণ্ড তৈরি করে বাক্যে ব্যবহার করো।
উত্তর: বিশেষ্যখণ্ড – লাল ফুল এবং বাক্যে ব্যবহার – “বাগানে একটি লাল ফুল ফুটেছে।”
২.৪.৬ আমি গ্রামের ছেলে। বাক্যটির উদ্দেশ্য ও বিধেয় অংশ চিহ্নিত করো।
উত্তর: আমি গ্রামের ছেলে। বাক্যটির উদ্দেশ্য হল আমি এবং বিধেয় হল গ্রামের ছেলে।
২.৪.৭ নির্মেঘ আকাশেও বৃষ্টি হচ্ছে। বাক্যটিকে যৌগিক বাক্যে পরিবর্তন করো।
উত্তর: নির্মেঘ আকাশেও বৃষ্টি হচ্ছে। বাক্যটিকে যৌগিক বাক্যে পরিবর্তন করলে হবে আকাশ নির্মেঘ তবুও বৃষ্টি হচ্ছে।
২.৪.৮ ‘ও দেখেছে’- কর্মবাচ্যে রূপান্তরিত করো।
উত্তর: ‘ও দেখেছে’- বাক্যটিকে কর্মবাচ্যে রূপান্তরিত করলে হবে ওকে দেখা হয়েছে।
২.৪.৯ কোন্ বাচ্যের রূপান্তর সম্ভব নয়?
উত্তর: ভাববাচ্যের রূপান্তর সম্ভব নয়।
২.৪.১০ কর্তাহীন বাচ্যের একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: কর্তাহীন বাচ্য এর একটি উদাহরণ হলো ভাত রান্না করা হয়েছে।
৩। প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কমবেশি ৬০ শব্দে উত্তর দাও:
৩.১ যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
৩.১.১ “অদৃষ্ট কখনও হরিদার এই ভুল ক্ষমা করবে না।” এখানে কোন্ ভুলের কথা বলা হয়েছে? তা কি প্রকৃতই ভুল ছিল?
উত্তর: “ভুল” বলতে হরিদার সেই সিদ্ধান্তকে বোঝানো হয়েছে যেখানে তিনি জগদীশবাবুর কাছ থেকে প্রচুর টাকা নেওয়ার পরিবর্তে একজন বিরাগীর ভূমিকায় থেকে শুধুমাত্র নামমাত্র বকশিশ নিয়েই সন্তুষ্ট ছিলেন।
এই সিদ্ধান্তকে “ভুল” বলা হয়েছে কারণ হরিদার দরিদ্র জীবনযাপনের প্রেক্ষাপটে এই টাকা তাঁর জীবনসঙ্গী হতে পারত, কিন্তু তিনি ভূমিকা পালনের মধ্যে ঢং নষ্ট হবে বলে টাকা স্পর্শ করেননি। লেখকের মতে, এটা প্রকৃতই একটি ভুল, কারণ হরিদার মতো একজন মানুষকে পরে আবার সেই জগদীশবাবুর কাছেই ছোটোখাটো বকশিশের জন্য হাত পাততে হবে — অর্থাৎ অহংকার বা ভূমিকা রক্ষার জন্য বড় সুযোগ হারানোই এখানে ভুল।
৩.১.২ ‘তার লাঞ্ছনা এই কালো চামড়ার নীচে কম জ্বলে না’ বক্তা কে? তার কোন্ লাঞ্ছনার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: ‘তার লাঞ্ছনা এই কালো চামড়ার নীচে কম জ্বলে না’ এখানে বক্তা হলেন অপূর্ব।
কেবলমাত্র দেশী হওয়ার অপরাধে অপূর্বকে কোন দোষ ছাড়াই কিছু ইংরেজ ছেলে রেলওয়ের প্ল্যাটফর্ম থেকে লাথি মেরে বের করে দেয়। সেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলে, শুধুমাত্র ভারতীয় হওয়ার কারণে, স্টেশনমাস্টার নিজ দেশের রেলস্টেশন থেকেই তাকে অপমানিত করে কুকুরের মতো তাড়িয়ে দেয়। এইভাবে ইংরেজদের হাতে নিজের দেশেই অপূর্বকে লাঞ্ছিত হতে হয়েছিল।এখানে এই লাঞ্ছনার কথা বলা হয়েছে।
৩.২ যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
৩.২.১ ‘এল মানুষ-ধরার দল’ তাদের আগমনের আগে আফ্রিকার স্বরূপ কেমন ছিল?
উত্তর: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘পত্রপুট’ কাব্যগ্রন্থের ‘আফ্রিকা’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে এই উদ্ধৃতাংশ। এখানে ‘মানুষ ধরার দল’ বলতে সাম্রাজ্যবাদী পশ্চিমা শক্তিশালী দেশগুলিকে বোঝানো হয়েছে। তাদের আবির্ভাবের আগে আফ্রিকা ছিল প্রকৃতির খেয়ালখুশির ওপর নির্ভরশীল। আদিম প্রকৃতি নিজের মত করেই গড়ে তুলেছিল তাকে। বিশ্বের অন্যান্য অংশের কাছে সে ছিল অজানা। ঘন বনস্পতির আড়ালে, আলোর আভাসময় অন্তঃপুরে আবদ্ধ ছিল সে। আফ্রিকা তখন নিভৃতে সংগ্রহ করছিল দুর্গম অঞ্চলের রহস্য। আফ্রিকা জানত “জল, স্থল ও আকাশের দুর্বোধ্য সংকেত”। আফ্রিকা ছিল অফুরন্ত প্রাকৃতিক সম্পদের ভাণ্ডার, যা ক্রমে তথাকথিত সভ্য সমাজের কাছে উন্মোচিত হতে থাকে। তার নিজের জন্মদাত্রী প্রকৃতি-মায়ের কাছেও সে আত্মপ্রকাশ করেছিল এক রহস্যময় রূপে। গভীর অরণ্যের ছায়ায় আড়াল ছিল তার মানবিক সত্তা।
৩.২.২ “ইন্দ্রশাপে বিদ্যাধরি” কে, কাকে ‘বিদ্যাধরি’ বলে অনুমান করেন? কেন এই অনুমান?
উত্তর: সমুদ্রতীরে অচেতন পদ্মাবতীকে দেখে সমুদ্রকন্যা পদ্মা তাঁকে ‘বিদ্যাধরি’ বলে চিহ্নিত করেছেন।
পিতৃগৃহে এক রাত্রি যাপনের পর পদ্মা সখীদের সঙ্গে নিয়ে নিজের শোভন উদ্যানে ফিরছিলেন। পথেই সমুদ্রকূলবর্তী এলাকায় চার সখীর মাঝে অচেতন এক তরুণীকে দেখতে পান—যাঁর পরিচয় ছিল সিংহল রাজকন্যা পদ্মাবতী। তাঁর রূপলাবণ্য এতটাই অধীর করা ছিল যে, স্বর্গের রম্ভা অপ্সরাকেও যেন পরাজিত করতে সক্ষম। এই দৃশ্য দেখে পদ্মার মনে হয়েছিল, মনে হল যেন স্বর্গের বিদ্যাধরি কোনো কারণে স্বর্গচ্যুত হয়ে পৃথিবীতে নেমে এসেছেন।
৪। কমবেশি ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
৪.১ “তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।” কোন্ দিন তপনের এমন মনে হয়েছিল? তার এমন মনে হওয়ার কারণ কী?
উত্তর: প্রশ্নোক্ত অংশ থেকে বোঝা যায়, “সন্ধ্যাতারা” পত্রিকায় তপনের প্রথম গল্প ছাপা হওয়ার দিনটিতেই তার মনে হয়েছিল যে আজ তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।
তপন দেখতে পায় যে, তার লেখা গল্পটি পত্রিকায় ছাপা হয়েছে বটে, কিন্তু তার মেসো গল্পটিকে এতটা “কারেকশান” করেছেন যে, গল্পের প্রায় প্রতিটি লাইনই পরিবর্তিত হয়ে গেছে। গল্পটি এখন আর তপনের নিজস্ব লেখা নেই, বরং মেসোর পুনর্লিখিত একটি গল্পে পরিণত হয়েছে। তাই যখন পরিবারের সবাই তপনের কাছে গল্পটি পড়ে শোনাতে বলে, তখন তপন নিজের গল্পের মধ্যে নিজেকে খুঁজে পায় না। সে বুঝতে পারে যে, গল্পটি ছাপা হওয়ার আনন্দ তার জন্য নয়, বরং এটি মেসোর “মহত্ত্ব” প্রদর্শনের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিজের সৃষ্টিকে স্বীকৃতি না পেয়ে, অন্যের লেখা হিসেবে নিজের নাম দেখতে পেয়ে তপন গভীর মর্মপীড়া ও অপমানবোধ করে। তাই বাহ্যিকভাবে সাফল্যের দিন হলেও, অন্তরে সে আজকে তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন হিসেবে অনুভব করে।
৪.২ “আগন্তুক এই মানুষটি যেন এই জগতের সীমার ওপার থেকে হেঁটে হেঁটে চলে এসেছেন। কে এই আগন্তুক? “আগন্তুকের চেহারা ও পোশাকের বিবরণ দাও।
উত্তর: আগন্তুক এই মানুষটি যেন এই জগতের সীমার ওপার থেকে হেঁটে হেঁটে চলে এসেছেন- ঘোষের লেখা ‘বহুরূপী’ গল্পে আগন্তুক হলেন হরিদা।
চেহারার বিবরণ – তাঁর শরীর শীর্ণ এবং প্রায় অশরীরী বলে মনে হয়। মাথায় শুকনো সাদা চুল আছে, যা ফুরফুর করে বাতাসে উড়ছে। তাঁর চোখ থেকে অদ্ভুত, উদাত্ত, শান্ত ও উজ্জ্বল দৃষ্টি ঝরে পড়ছে। তাঁর চেহারা দেখে মনে হয় তিনি এই জগতের সীমার ওপার থেকে হেঁটে চলে এসেছেন। পা ধুলো মাখা।
পোশাকের বিবরণ – গায়ে একটি ধবধবে সাদা উত্তরীয় পরেছেন। পরনে ছোট বহরের একটি সাদা থান (ধুতি)। হাতে একটি ঝোলা আছে, যার ভিতরে মাত্র একটি বই – গীতা। তিনি কোনো গৈরিক বস্ত্র বা সন্ন্যাসীর পোশাক পরেননি। তাঁর আদুড় গা অর্থাৎ গায়ে কোনো উপরের পোশাক নেই, শুধু উত্তরীয়। তিনি জটাজুটধারী নন, হাতে কমণ্ডলু, চিমটে বা মৃগচর্মের আসনও নেই। সার্বিকভাবে, তাঁর আবির্ভাব খুবই রহস্যময়, শান্ত ও আধ্যাত্মিক।
৫। কমবেশি ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
৫.১ “যেখানে ছিল শহর/সেখানে ছড়িয়ে রইল কাঠকয়লা। ‘অসুখী একজন’ কবিতা অবলম্বনে শহরের এই পরিণতি কীভাবে হল লেখো।
উত্তর: যুদ্ধ হলো সর্বগ্রাসী ধ্বংস ও রক্তপাতের নাম। পাবলো নেরুদার ‘অসুখী একজন’ কবিতায় শিশু ও ঘরবাড়ি ধ্বংসের চিত্রণ যুদ্ধের ভয়াবহ রূপই ফুটিয়ে তোলে। যুদ্ধ এসেছিল লালগরম রক্তের অগ্নিগিরির মতো। সমগ্র মাঠজুড়ে লেলিহান আগুন ছড়িয়ে পড়ল। তার দহনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল সবকিছু। শিশুরা প্রাণ হারাল, মানুষের আবাসস্থল ধ্বংস হল, সাজানো-গোছানো পৃথিবী ছারখার হয়ে গেল। মন্দির থেকে টুকরো টুকরো হয়ে ছিটকে পড়ল ধ্যানমগ্ন হলুদ দেবতার মূর্তি। তারাও আর স্বপ্ন দেখতে পারল না। অর্থাৎ যুদ্ধের অগ্নিদাহে মানবের ঈশ্বরবিশ্বাসও ভস্মীভূত হয়ে গেল। অথচ এই মূর্তিগুলিই হাজার হাজার বছর ধরে শান্তির প্রতীক হয়ে মন্দিরে বিরাজমান ছিল। যুদ্ধের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল কবির স্মৃতিময় বাড়ি, বারান্দায় দোলানো ঝুলন্ত বিছানা, বাগান, চিমনি আর প্রাচীন জলতরঙ্গ। নগরী যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল, সেখানে শুধু পড়ে রইল শহরের স্মৃতিচিহ্নস্বরূপ কিছু কয়লা ও মোচড়ানো লোহার খণ্ড। এখানে-সেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকল পাথরের মূর্তির বিকৃত মাথাগুলো। জমাট বাঁধা রক্তের কালো দাগ হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসস্তূপের নীরব সাক্ষী হয়ে রইল।
৫.২ ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় একদিকে ধ্বংসের চিত্র আঁকা হয়েছে, আবার অন্যদিকে নতুন আশার বাণী ধ্বনিত হয়েছে। প্রসঙ্গটি কবিতা অবলম্বনে আলোচনা করো।
উত্তর: “প্রলয়োল্লাস” কবিতায় মোট উনিশবার “তোরা সব জয়ধ্বনি কর” এই আহ্বানসূচক পঙ্ক্তিটি ব্যবহৃত হয়েছে, যা প্রমাণ করে এই পঙ্ক্তিটির মধ্যেই কবি সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করেছেন। প্রকৃতপক্ষে ‘প্রলয়োল্লাস’ হল ধ্বংসের মাধ্যমেই সৃষ্টির স্তুতিগান। স্বাধীনতাকামী যে তরুণ দল তাদের অপরাজেয় সাহস ও অদম্য ইচ্ছাশক্তির দ্বারা পরাধীনতা ও সামাজিক বৈষম্যের অবসান ঘটাতে চায়, কবি তাদেরই জয়ধ্বনি করতে বলেছেন। কবির মতে তারা হল ‘অনাগত প্রলয়-নেশার নৃত্য-পাগল,’ কিন্তু তারাই সিন্ধুপারের সিংহদ্বারে আঘাত হেনে নতুন চেতনা ও বিপ্লবের বার্তা নিয়ে আসে। অসুন্দরকে ধ্বংস করতে তারা আপাতদৃষ্টিতে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। এর মাধ্যমেই পৃথিবীতে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়, প্রাণহীনতার বিনাশ ঘটে। “… জগৎ জুড়ে প্রলয় এবার ঘনিয়ে আসে/জরায়-মরা মুমূর্ষুদের প্রাণ-লুকানো ওই বিনাশে।” প্রলয়ঙ্কর শিবের মতো রুদ্ররূপে যে বিপ্লবী শক্তির আবির্ভাব হয়, তারাই ধ্বংসের মধ্য দিয়ে সৃষ্টির স্রষ্টা। তাই সমাজকে সুন্দর করে গড়ে তোলার জন্য তাদেরকে স্বাগত জানাতে হবে। এই কারণেই কবিতায় ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’ পঙ্ক্তিটির পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। এটি বিপ্লবী যুবশক্তির প্রতি কবির মুগ্ধ অভিবাদন।
৬। কমবেশি ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
৬.১ “তাই নিয়ে আমাদের প্রথম লেখালেখি।” লেখকের প্রথম লেখালেখির আয়োজনের পরিচয় দাও।
উত্তর: ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনায় লেখক তাঁর শৈশবের লেখালেখির সূচনার এক মনোরম চিত্র অঙ্কন করেছেন। গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে যাঁদের শৈশব জড়িত, লেখকের সমবয়সী এমন পাঠকরা তাঁর এই বর্ণনার সঙ্গে একাত্মতা বোধ করবেন—এই প্রত্যাশা নিয়েই তিনি বর্ণনাটি উপস্থাপন করেছেন। শৈশবে লেখক সরু বাঁশের কঞ্চি কেটে তা দিয়ে কলম বানাতেন। বড়দের পরামর্শমতো কলমের মাথা চিরে নেওয়া হতো, যাতে কালি আস্তে আস্তে গড়িয়ে পড়ে। লেখা হত কলাপাতায়। কলাপাতাকে কাগজের আকারে কেটে নিয়ে তাতে বাড়ির কাজ শেষ করে মাস্টারমশাইকে দেখানো হতো, তারপর সেটি পুকুরে ফেলে দেওয়া হত। কালিও তারা নিজেরাই তৈরি করতেন। এজন্য বড়দের সহায়তা নেওয়া হতো। কোনো জটিল প্রস্তুতি ছাড়াই সহজ পদ্ধতিতে এই কালি তৈরি হতো। কাঠের উনুনে কড়াই চাপালে তার তলায় যে কালি জমত, তা লাউয়ের পাতা দিয়ে ঘষে তুলে জলে গুলে নেওয়া হতো। মাঝেমাঝে তাতে হরীতকী মেশানো হত। কখনো আবার আতপ চাল ভেজে পুড়িয়ে গুঁড়ো করে সেই জলের সঙ্গে মেশানো হতো। এরপর সেই মিশ্রণে একটি খুন্তির গোড়া পুড়িয়ে লাল টকটকে করে ছ্যাঁকা দেওয়া হতো। সবশেষে কাপড়ে ছেঁকে মাটির দোয়াতে সেই কালি রাখা হতো। এভাবেই লেখকের শৈশবে ‘লেখালেখি’র যাত্রা শুরু হয়।
৬.২ ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ প্রবন্ধ অনুসরণে পরিভাষার প্রকৃত উদ্দেশ্য ব্যক্ত করো।
উত্তর: “বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান” প্রবন্ধ অনুসারে, রাজশেখর বসু পরিভাষার প্রকৃত উদ্দেশ্য ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেছেন যে, বৈজ্ঞানিক আলোচনাকে স্পষ্ট, সহজবোধ্য ও যথাযথভাবে প্রকাশ করার জন্যই পরিভাষার সৃষ্টি। এর মুখ্য উদ্দেশ্যগুলি হল –
স্পষ্টতা ও যথার্থতা রক্ষা – বৈজ্ঞানিক তথ্য ও ধারণাগুলিকে দ্ব্যর্থহীন এবং নির্ভুলভাবে প্রকাশ করার জন্য পরিভাষা অপরিহার্য। উদাহরণস্বরূপ, ‘আলোকতরঙ্গ’-এর স্থলে ‘আলোর নাচন’ বা ‘কাঁপন’ ব্যবহার করলে বৈজ্ঞানিক স্পষ্টতা নষ্ট হয়।
জটিল ধারণার সংক্ষিপ্ত ও কার্যকর প্রকাশ – বিজ্ঞানের জটিল ও নির্দিষ্ট ধারণাগুলিকে সংক্ষিপ্ত শব্দ বা শব্দগুচ্ছের মাধ্যমে সহজে বোঝানো। যেমন, ‘When sulphur burns in air the nitrogen does not take part in the reaction’ – এই বাক্যের ধারণাটি ‘নাইট্রোজেনের কোনো পরিবর্তন হয় না’ লিখে সহজভাবে প্রকাশ করা যায়।
ভাষাগত বাধা দূরীকরণ – বিশেষ করে যারা ইংরেজি ভাষায় বিজ্ঞান পড়েছেন, তাদের জন্য বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চাকে সুগম করা। একটি সমৃদ্ধ ও সংগতিপূর্ণ পরিভাষা না থাকলে তাদের কাছে বাংলা বিজ্ঞান সাহিত্য দুর্বোধ্য হয়ে ওঠে।
বৈজ্ঞানিক চিন্তার স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করা – পরিভাষার সঠিক ব্যবহার লেখকের চিন্তাভাবনা এবং যুক্তিকে সুসংগত ও প্রবাহমানভাবে উপস্থাপনে সাহায্য করে। ইংরেজি বাক্য গঠন অন্ধভাবে বাংলায় অনুবাদ করলে ভাষা আড়ষ্ট ও জটিল হয়ে পড়ে।
বিজ্ঞানচর্চার প্রসার – একটি সুষ্ঠু পরিভাষা ছাড়া বাংলাভাষী সাধারণ মানুষের মধ্যে বিজ্ঞানের জ্ঞান বিস্তার করা কঠিন। একটি প্রমিত পরিভাষা তৈরি ও তার যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলায় বিজ্ঞানচর্চা ও বিজ্ঞানশিক্ষার প্রসার ঘটানো সম্ভব।
সার্বিকভাবে, পরিভাষার প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানের জটিল বিষয়বস্তুকে যথাযথ, সংক্ষিপ্ত ও স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা, যাতে পাঠক সহজেই বৈজ্ঞানিক বিষয়টি আয়ত্ত্ব করতে পারেন এবং ভাষা নিজেই একটি বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।
৭। কমবেশি ১২৫ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
৭.১ ‘তাঁর আদেশে হাসিমুখেই মৃত্যুকে বরণ করব।’ কার আদেশের কথা বলা হয়েছে? এই উক্তির আলোকে বক্তার চরিত্রটির ওপর আলোকপাত করো।
উত্তর: প্রশ্নোদ্ধৃত “তাঁর আদেশে হাসিমুখেই মৃত্যুকে বরণ করব” -এই উক্তিতে মীরমদন “তাঁর” বলতে সিপাহসালার মীরজাফর -এর আদেশের কথা বলা হয়েছে।
আনুগত্য ও কর্তব্যপরায়ণতা – মীরমদন একজন সেনানায়ক হিসেবে মীরজাফরের প্রতি অগাধ আনুগত্য প্রকাশ করেছেন। তিনি সরাসরি ঘোষণা দেন যে, সিপাহসালারের আদেশ পালন করতে গিয়ে প্রাণ দিলেও তিনি হাসিমুখে মৃত্যুবরণ করবেন। এটি তার চরিত্রের কর্তব্যপরায়ণতা ও নিষ্ঠাকে ফুটিয়ে তোলে।
সাহস ও আত্মত্যাগ – “হাসিমুখে মৃত্যুকে বরণ করা” –এই মনোভাব তার অসীম সাহস, দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের মানসিকতার পরিচয় দেয়। তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো প্রকার ভয় বা দ্বিধা না রাখার মনের জোর রাখেন।
মীরজাফরের প্রতি অন্ধ বিশ্বাস – মীরমদনের এই উক্তি থেকে বোঝা যায়, তিনি মীরজাফরের সামরিক নেতৃত্বে পূর্ণ আস্থাশীল। তবে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে মীরজাফর যে শেষ পর্যন্ত বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন, তা মীরমদনের এই অকৃত্রিম ভক্তি ও বিশ্বাসের বিপরীত চিত্র তৈরি করে।
সিরাজউদ্দৌলার প্রতি পরোক্ষ সমর্থন – এই দৃশ্যে সিরাজউদ্দৌলা মীরজাফরকে সেনাপতি নিয়োগ করেছেন এবং মীরমদনসহ অন্যান্য সেনানায়করা তা মেনে নিয়েছেন। তাই মীরজাফরের আদেশ মানেই সিরাজের পক্ষে যুদ্ধে অংশগ্রহণ এটিও মীরমদনের চরিত্রের দেশপ্রেম ও নেতৃভক্তির দিকটি তুলে ধরে।
সারসংক্ষেপ – মীরমদনের চরিত্রে আমরা একজন কর্তব্যপরায়ণ, সাহসী ও নেতৃভক্ত সেনানায়কের ছবি দেখি, যিনি দেশ ও নেতার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত।
৭.২ “ওখানে কী দেখচ মূর্খ, বিবেকের দিকে চেয়ে দ্যাখো।” বক্তা কে? উদ্দিষ্ট ব্যক্তির প্রতি বক্তার কী মনোভাব লক্ষ করা যায়?
উত্তর: বক্তা – উদ্ধৃত উক্তি— “ওখানে কী দেখচ মূর্খ, বিবেকের দিকে চেয়ে দ্যাখো।” —এর বক্তা হলেন ঘসেটি বেগম। তিনি শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত রচিত ‘সিরাজদৌলা’ নাট্যাংশের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র।
উদ্দিষ্ট ব্যক্তির প্রতি বক্তার মনোভাব- এই উক্তিটি তাঁর দত্তক-পুত্র শওকত জঙ্গকে উদ্দেশ করে বলা হয়েছে। ঘসেটি বেগম বা মেহেরুন্নিসা ছিলেন নবাব আলিবর্দি খাঁর জ্যেষ্ঠ কন্যা এবং সিরাজউদ্দৌলার খালা। তাঁর বিয়ে হয়েছিল ঢাকার শাসনকর্তা শাহমৎ জঙ্গের সঙ্গে।
বক্তব্যের মাধ্যমে ঘসেটি বেগমের রাগ, ক্ষোভ ও তিরस्कारপূর্ণ মনোভাব প্রকাশ পায়। নিজের ক্ষমতা ও স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত ঘসেটি, শওকত জঙ্গকে পথনির্দেশ দিতে গিয়ে কঠোর, অবজ্ঞাসূচক এবং কর্তৃত্বপ্রবণ ভঙ্গিতে কথা বলেন।
এতে স্পষ্ট হয় যে শওকতের প্রতি তাঁর আচরণে ভালোবাসার চেয়ে উপদেশ, কট্টরতা ও বিরক্তির সুর বেশি লক্ষ করা যায়। ঘসেটির অন্তর্দাহ ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা তাঁর কথায় তীব্রভাবে ফুটে ওঠে।
৮। কমবেশি ১৫০ শব্দে যে-কোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
৮.১ ‘তুমুল হৈচৈ পড়ে গেল প্রণবেন্দুর এই কথায়।’ কোন্ কথা প্রণবেন্দু বলেছিলেন? তার পরিণতি কী হল?
উত্তর: প্রণবেন্দু বিশ্বাস বলেছিলেন, “বেঙ্গলের স্বার্থেই কনকচাঁপা পালকে টিমে রাখতে হবে।
প্রণবেন্দুর এই বক্তব্যের পরিণতি ছিল নিম্নরূপ –
তুমুল হৈচৈ ওঠে – সভায় উপস্থিত সদস্যরা, বিশেষ করে জুপিটার ক্লাব ও তাদের সমর্থকরা, এই প্রস্তাব শুনে উত্তেজিত হয়ে ওঠে। কারণ অ্যাপোলো ক্লাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাদের সদস্য কোনিকে (কনকচাঁপা পাল) দলে রাখার এই প্রস্তাব অপ্রত্যাশিত ছিল।
ধীরেন ঘোষের প্রতিক্রিয়া – ধীরেন ঘোষ ক্ষুব্ধ হয়ে প্রণবেন্দুকে স্টেট চ্যামপিয়নশিপের ঘটনা মনে করিয়ে দেন, যেখানে কোনিকে অখেলোয়াড়ি আচরণের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল।
প্রণবেন্দুর দৃঢ়তা – প্রণবেন্দু ধীরেন ঘোষের মুখের দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলেন যে তিনি যা ঘটেছে তা দেখেছেন। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তিনি বিশ্বাস করেন স্টেট চ্যামপিয়নশিপে কোনির বিরুদ্ধে আনা ডিসকোয়ালিফিকেশনের সিদ্ধান্তটি সঠিক বা ন্যায্য ছিল না।
ঘটনার পুনর্বিবরণ – পরবর্তীতে বর্ণনা থেকে জানা যায়, স্টেট চ্যামপিয়নশিপে কোনিকে যে ডিসকোয়ালিফাই করা হয়েছিল, তা বিতর্কিত ছিল। কোনির কোচ ক্ষিতীশ ঘটনাটি মেনে নিতে পারেননি এবং ধীরেন ঘোষের কাছে এর ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন। সুতরাং, প্রণবেন্দুর কথার সরাসরি পরিণতি ছিল সভায় তীব্র বিতর্ক ও উত্তেজনার সৃষ্টি করা এবং কোনির ডিসকোয়ালিফিকেশনের সেই বিতর্কিত ইস্যুটি আবারো আলোচনায় আনা।
৮.২ “হঠাৎ তার চোখে ভেসে উঠল ‘৭০’ সংখ্যাটা।” কোন্ ঘটনার ফলে এমন হয়েছিল? কোনির কাছে এই সংখ্যাটার তাৎপর্য কী ছিল?
উত্তর: কোনি একা চিপকের সুইমিং পুলে নিজের মতো করে অনুশীলন শেষ করে উঠে আসার মুহূর্তে একটি মেয়ের সম্মুখীন হয়। পরিচয় হওয়ার পর সে জানতে পারে যে মেয়েটির নাম রমা যোশি। আর ঠিক তখনই কোনির চোখের সামনে ভেসে ওঠে ‘৭০’ সংখ্যাটি।
‘৭০’ সংখ্যাটির তাৎপর্য – কোনির চোখে ‘৭০’ সংখ্যাটি এক গভীর অর্থ নিয়ে ভেসে উঠেছিল। এটি ছিল মূলত ‘৭০’ সেকেন্ড। মহারাষ্ট্রের সাঁতারু রমা যোশি মাত্র ৭০ সেকেন্ডে সাঁতার কেটে রেকর্ড গড়েছিলেন। আর এই রমা যোশিই ছিল কোনির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। তাই ক্ষিতীশ সিংহ কোনির প্রশিক্ষণ নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক, হিসেবী ও কঠোর হয়ে উঠেছিলেন। তিনি কোনির দৈনন্দিন অনুশীলনের পাশাপাশি তার খাওয়া-দাওয়া, বিশ্রাম, এমনকি রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রার দিকেও কড়া নজর রাখতে শুরু করেন। ক্ষিতীশ কালি দিয়ে বড়ো বড়ো অক্ষরে ‘৭০’ লিখে ক্লাবের বারান্দার দেয়ালে টাঙিয়ে দিয়েছিলেন কোনিকে অনুপ্রাণিত করার জন্য। প্রতিদিন চোখের সামনে ওই সংখ্যাটি দেখিয়ে তিনি কোনিকে বোঝাতে চাইতেন— “এই বছরই কোনিকে এক মিনিট দশ সেকেন্ডের মধ্যে সাঁতরাতেই হবে।” অসম্ভবকে সম্ভব করতেই হবে। সময়ই যে কোনির একমাত্র শত্রু, সেটি মূহুর্তে মূহুর্তে ওই সংখ্যাটির মাধ্যমে তিনি তুলে ধরেছিলেন। চিপকে হঠাৎ রমা যোশির সঙ্গে পরিচয়ের মুহূর্তে যখন কোনির মনে প্রথম ‘৭০’ সংখ্যাটি ভেসে উঠল, তখনই বোঝা গেল— ক্ষিতীশ তার লক্ষ্যে অনেকখানিই সফল হয়েছেন।
৮.৩ “প্রথম দিকে লীলাবতী বিদ্রোহী হয়েছিল,” ‘লীলাবতী’ কে? সে বিদ্রোহী হয়েছিল কেন? কীভাবে এই বিদ্রোহের অবসান ঘটে?
উত্তর: লীলাবতী হলেন ক্ষিতীশের স্ত্রী। তিনি একজন গম্ভীর, গৌরবর্ণা ও ছোটখাটো গড়নের গৃহিণী, যিনি পরিশ্রমী এবং ব্যবসায়িক বুদ্ধিসম্পন্ন। তিনি ‘প্রজাপতি’ নামের একটি মহিলা ও শিশুদের পোশাকের দোকানের মালিক এবং ব্যবস্থাপক।
বিদ্রোহী হয়েওঠার কারণ – লীলাবতী বিদ্রোহী হয়েছিলেন রান্নার পদ্ধতি নিয়ে। ক্ষিতীশ স্বাস্থ্যগত কারণে বাঙালিয়ানা রান্না যেমন – সরষেবাটা, শুকনো লঙ্কাবাটা, পাঁচফোড়ন, জিরে, ধনে ইত্যাদি মসলার ব্যবহার বন্ধ করে দিয়ে শুধুমাত্র সিদ্ধ খাবার খাওয়ার নিয়ম চালু করে। লীলাবতীর কাছে এই রান্নাপদ্ধতি অগ্রহণযোগ্য ও রুচিবিরোধী ছিল বলে তিনি এ নিয়ে বিদ্রোহ করেন।
বিদ্রোহের অবসান – লীলাবতীর তুমুল ঝগড়া এবং তিনদিনের অনশন সত্যাগ্রহের পরেও ক্ষিতীশ তার সিদ্ধান্তে অটল থাকে। অবশেষে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো হয়। সমঝোতা অনুযায়ী, লীলাবতী সপ্তাহে মাত্র একদিন নিজের খাবারের জন্য সরষে ও লঙ্কাবাটা ব্যবহারের অনুমতি পান। এই ভিত্তিতেই বিদ্রোহের অবসান ঘটে।
৯। চলিত বাংলায় অনুবাদ করো:
We live in India and work for India. But we should not forget that we belong to the larger family of the world. The people living in other countries are after all our cousins. It would be such an excellent thing if all the people in the world were happy and contend.
উত্তর: আমরা ভারতে থাকি এবং ভারতের জন্য কাজ করি। কিন্তু আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে আমরা বিশ্বের বড় পরিবারেরই একজন সদস্য। অন্য দেশে যারা থাকে, তারাও শেষ পর্যন্ত আমাদেরই আত্মীয়। পৃথিবীর সব মানুষ যদি সুখী ও সন্তুষ্ট হয়ে থাকতে পারত, তা হলে সত্যিই দারুণ একটা বিষয় হতো।
১০। কমবেশি ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
১০.১ মাধ্যমিকের পর ছুটির কয়েকটি দিন কীভাবে কাটাতে চাও, এই বিষয়টিকে নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে কাল্পনিক সংলাপ রচনা করো।
উত্তর:
ছুটির দিন কাটানোর পরিকল্পনা
রাহুল: আরে অর্ণব, মাধ্যমিক তো শেষ! ভাবছিস ছুটির কয়েকটা দিন কীভাবে কাটাবি?
অর্ণব: হ্যাঁ রে, ভাবছি একটু ঘুরে আসি। অনেকদিন কোথাও যাওয়া হয়নি। তোকে বলেছিলাম না, দার্জিলিং যাওয়ার ইচ্ছে ছিল?
রাহুল: দার্জিলিং খুব সুন্দর জায়গা। আমিও যেতে চাই। কিন্তু আমার পরিকল্পনা একটু আলাদা। আগে কিছুদিন বিশ্রাম নেব, তারপর গিটার শেখার ক্লাসে ভর্তি হব।
অর্ণব: বেশ তো! ভালো কিছু শেখার এটা তো সেরা সময়। তা তোর সঙ্গে কি আমি গিটার ক্লাসে যোগ দিতে পারি?
রাহুল: অবশ্যই পারিস। একসঙ্গে শিখলে মজা বেশি হবে। আর চাইলে একদিন কাছাকাছি কোনো জায়গায় ঘুরতেও যেতে পারি।
অর্ণব: আইডিয়াটা খারাপ না। তাহলে ঠিক হলো— কিছুদিন বিশ্রাম, তারপর গিটার শেখা, আর মাঝে একদিন ঘুরে আসা।
রাহুল: হ্যাঁ রে, ছুটিটা কাজে লাগিয়ে আনন্দের সঙ্গে কাটাই।
১০.২ ‘ডেঙ্গু আতঙ্কে জেরবার বঙ্গবাসী’ এ বিষয়ে সংবাদপত্রের জন্য একটি প্রতিবেদন রচনা করো।
উত্তর:
ডেঙ্গু আতঙ্কে জেরবার বঙ্গবাসী
নিজেস্ব সংবাদদাতা,কলকাতা, ৯ নভেম্বর 2025 : রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিন নতুন আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীর ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলেই মানুষ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ছুটে যাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব এবং জমে থাকা নোংরা জল থেকেই মশাবাহিত এই রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। রাজ্য সরকার বিভিন্ন এলাকায় ফগিং, ব্লিচিং ও প্রচার অভিযান চালালেও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার ঘাটতি এখনো স্পষ্ট।
অনেকে প্রয়োজনীয় সতর্কতা না নেওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সময়মতো চিকিৎসা এবং পরিবেশ পরিষ্কার রাখলেই ডেঙ্গুর সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। ডেঙ্গু আতঙ্কে গোটা রাজ্যে এখন চরম উদ্বেগের পরিবেশ।
১১। কমবেশি ৪০০ শব্দে যে-কোনো একটি বিষয় অবলম্বনে প্রবন্ধ রচনা করো:
১১.১ একটি গাছ, একটি প্রাণ।
উত্তর:
একটি গাছ, একটি প্রাণ
মানুষের জীবনধারণের জন্য যেমন খাদ্য, বস্ত্র ও আশ্রয় অপরিহার্য, তেমনি অপরিহার্য গাছ। তাই বলা হয়— “একটি গাছ, একটি প্রাণ”। প্রকৃত অর্থে মানুষের অস্তিত্ব গাছের ওপর নির্ভরশীল। গাছ শুধু অক্সিজেন প্রদানই করে না, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও অমূল্য ভূমিকা পালন করে। অথচ আধুনিক সভ্যতার বিস্তারে গাছ দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে প্রকৃতি বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে এবং মানুষের জীবন ও ভবিষ্যৎ বিপন্ন হচ্ছে।
গাছ আমাদের বেঁচে থাকার মূল উপাদান অক্সিজেন সরবরাহ করে। দিনে তারা কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে অক্সিজেন ত্যাগ করে পরিবেশকে শুদ্ধ রাখে। গাছ না থাকলে বায়ুমণ্ডলে বিষাক্ত গ্যাসের মাত্রা বাড়তে থাকে, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। পাশাপাশি গাছ জলবায়ুকে স্থিতিশীল রাখে, মাটির ক্ষয় রোধ করে এবং বন্যা, খরা, ঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের তীব্রতা কমায়। তাই প্রতিটি গাছ সত্যিই একটি প্রাণের মতোই মূল্যবান।
শুধু পরিবেশ নয়, অর্থনীতিতেও গাছের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী— কাঠ, কাগজ, ফলমূল, ওষুধ— সবই গাছ থেকে আসে। গ্রামীণ জীবনে কৃষিকাজ, পশুপালন, আশ্রয় নির্মাণ প্রভৃতি ক্ষেত্রেও গাছের গুরুত্ব অপরিসীম। শহরে রাস্তার ধারে ছায়াদায়ী গাছ পথচারীদের আরাম দেয় এবং দূষণ কমায়। শিশুদের খেলাধুলা, পাখিদের বাসা, প্রাণীদের আশ্রয়— সবকিছুর সঙ্গে গাছ ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে সভ্যতার দৌড়ে নির্বিচারে বৃক্ষনিধন চলছে। বন ধ্বংসের ফলে ঊষ্ণতা বাড়ছে, বর্ষার ধরন বদলে যাচ্ছে, জীববৈচিত্র্যহানি ঘটছে এবং মানবসমাজ ঝুঁকির মুখে পড়ছে। যদি এখনই মানুষ সচেতন না হয়, তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এক ভয়ানক পরিবেশগত সংকটের সম্মুখীন হবে। তাই গাছ লাগানো ও গাছ রক্ষা করা সবার দায়িত্ব।
সমাধান খুব কঠিন নয়। প্রত্যেকে বছরে অন্তত একটি গাছ লাগানোর সংকল্প নিলে পরিবেশ অনেকটাই বদলে যাবে। স্কুল, কলেজ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও পরিবারে নিয়মিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করা উচিত। লাগানো গাছের পরিচর্যা করাটাও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ একটি গাছ বড়ো হতে দীর্ঘ সময় লাগে। পাশাপাশি বনাঞ্চল রক্ষায় কঠোর আইন প্রয়োগ এবং মানুষকে সচেতন করাও দরকার।
সবশেষে বলা যায়, গাছ কেবল প্রকৃতির অংশ নয়, আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী। একটি গাছ মানে একটি জীবনকে রক্ষা করা। তাই— “একটি গাছ, একটি প্রাণ”— এই স্লোগান শুধু বাক্য নয়, ভবিষ্যৎ রক্ষার শপথ হওয়া উচিত।
১১.২ ছাত্রজীবনের একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা।
উত্তর:
ছাত্রজীবনের একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা
ছাত্রজীবন মানুষের জীবনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই সময়ে যেমন শিক্ষা লাভের সুযোগ মেলে, তেমনই নানা অভিজ্ঞতা আমাদের চরিত্র গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। ছাত্রজীবনের স্মৃতিগুলোর মধ্যে এমন কিছু ঘটনা থাকে, যা সারা জীবন মনে গেঁথে থাকে। আমার ছাত্রজীবনেও একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা রয়েছে, যা এখনও আমাকে আনন্দ ও অনুপ্রেরণা দেয়।
ঘটনাটি ঘটেছিল অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময়। আমাদের বিদ্যালয়ে আন্তঃবিদ্যালয় বিজ্ঞান প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল। শিক্ষকরা আমাদের মধ্যে দল গঠন করে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্রকল্প তৈরির দায়িত্ব দেন। আমি দুই সহপাঠীকে নিয়ে একটি ‘লো-কম্পিউশন ওয়াটার পিউরিফায়ার’ মডেল তৈরির সিদ্ধান্ত নিই। প্রথমদিকে আত্মবিশ্বাস ছিল না, কারণ আগে কখনো কোনো বড় বিজ্ঞান প্রকল্পে অংশগ্রহণ করিনি। তবুও আমাদের বিজ্ঞান শিক্ষক আশ্বাস দিয়ে বলেন, “চেষ্টা করলে সবই সম্ভব।”
প্রথমে নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলাম। প্রয়োজনীয় উপকরণ জোগাড় করা, প্রকল্পের নকশা তৈরি করা, বারবার ব্যর্থ হয়ে আবার নতুনভাবে চেষ্টা—সব মিলিয়ে প্রস্তুতির সময়টি ছিল চ্যালেঞ্জে ভরা। অনেক সময় মনে হয়েছিল প্রকল্পটি আর শেষ করতে পারব না। কিন্তু দলগত প্রচেষ্টা, শিক্ষকের উৎসাহ আর নিজের আগ্রহ আমাদের এগিয়ে নিয়ে যায়। অবশেষে প্রদর্শনীর আগের দিন রাত পর্যন্ত পরিশ্রম করে আমরা মডেলটি সম্পূর্ণ করি।
প্রদর্শনীর দিনে বহু অন্যান্য স্কুলের ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিল। আমাদের প্রকল্পের সামনে দাঁড়িয়ে বিচারকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছিল। অদ্ভুতভাবে সেই মুহূর্তে কোনো ভয় কাজ করেনি; বরং নিজের পরিশ্রমের প্রতি একটি গর্বের অনুভূতি হয়েছিল। বিচারকরা আমাদের প্রকল্পের অভিনবত্ব ও প্রয়োগযোগ্যতার প্রশংসা করেন। দিনের শেষে ঘোষণা করা হয় যে আমরা দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছি। সেই মুহূর্তের আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ও পরিবারের সবার প্রশংসা আমাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল।
এই অভিজ্ঞতা আমাকে শিখিয়েছে—কোনো কাজ কঠিন হলেও চেষ্টা ও অধ্যবসায় থাকলে সফলতা আসবেই। দলগত সহযোগিতা, ধৈর্য ও আত্মবিশ্বাস ছাত্রজীবনে যেমন প্রয়োজন, ভবিষ্যৎ জীবনেও তা সমান গুরুত্বপূর্ণ।
আজও যখন কোনো কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হই, তখন সেই বিজ্ঞান প্রদর্শনীর স্মরণীয় অভিজ্ঞতা আমাকে নতুন উদ্দীপনা দেয়। ছাত্রজীবনের এই স্মৃতি আমার জীবনে অধ্যবসায়ের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।
১১.৩ প্রতিযোগিতার সুফল ও কুফল।
উত্তর:
প্রতিযোগিতার সুফল ও কুফল
মানবজীবনে প্রতিযোগিতা একটি স্বাভাবিক ও অপরিহার্য উপাদান। পরিবার, বিদ্যালয়, কর্মক্ষেত্র— সর্বত্রই কোনো না কোনোভাবে প্রতিযোগিতার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। উন্নতির পথে এগোতে এবং নিজের ক্ষমতা যাচাই করতে প্রতিযোগিতার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। তবে এর সুফলের পাশাপাশি কিছু কুফলও রয়েছে, যা সমাজ ও ব্যক্তিজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রথমত, প্রতিযোগিতার প্রধান সুফল হলো ব্যক্তিগত উন্নতি। প্রতিযোগিতা মানুষকে দক্ষ, অধ্যবসায়ী ও আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করে। শিক্ষাক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়ায়, তাদের লক্ষ্য নির্ধারণে সহায়তা করে। খেলাধুলার ক্ষেত্রেও সুস্থ প্রতিযোগিতা শৃঙ্খলা, দলগত মনোভাব এবং শারীরিক সক্ষমতা বাড়ায়। কর্মক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এর ফলে সমাজে উন্নতির গতিও দ্রুত হয়।
দ্বিতীয়ত, প্রতিযোগিতা মানুষের মধ্যে সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা জাগিয়ে তোলে। নতুন কিছু শেখার প্রতি উৎসাহ জন্মায়। মানুষ নিজের সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে সাফল্যের পথে এগিয়ে যেতে পারে। এইভাবে প্রতিযোগিতা সমাজে অগ্রগতির অন্যতম উৎস হিসেবে কাজ করে।
কিন্তু প্রতিযোগিতার কিছু কুফলও রয়েছে, যা উপেক্ষা করা যায় না। অতিরিক্ত প্রতিযোগিতার চাপ মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অযথা তুলনা, র্যাঙ্ক–চাপ এবং সফলতার বাধ্যবাধকতা তাদের উদ্বিগ্ন ও হতাশ করে তোলে। এর ফলে আত্মবিশ্বাস কমে যায়, কখনো কখনো সৃষ্টি হয় ভয় ও মানসিক অস্থিরতা।
এছাড়াও, অতিরিক্ত প্রতিযোগিতা মানুষকে স্বার্থপর করে তুলতে পারে। সহমর্মিতা ও সহযোগিতার মনোভাব কমে যায়। অনেক সময় সফলতার তাড়নায় অসততা, জালিয়াতি বা অন্যায় পথ অবলম্বনের প্রবণতা দেখা দেয়। এর ফলে সমাজে নৈতিক অবক্ষয়ের আশঙ্কা দেখা দেয়। খেলাধুলার ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হিংসা, দুর্ব্যবহার এবং অসদাচরণ সৃষ্টি করতে পারে।
এ কারণে প্রতিযোগিতার প্রয়োজন থাকলেও এর সঠিক দিকনির্দেশনা অত্যন্ত জরুরি। সুস্থ ও নৈতিক প্রতিযোগিতাই সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। পরিবার ও বিদ্যালয়ের দায়িত্ব— প্রতিযোগিতার উপকারিতা বোঝানো এবং অযথা চাপ না দিয়ে শিশুদের মানসিকভাবে সুস্থভাবে গড়ে তোলা।
সুতরাং বলা যায়, প্রতিযোগিতা জীবনের অগ্রগতির চালিকাশক্তি হলেও এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। সুস্থ প্রতিযোগিতা মানুষকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যায়, আর অসুস্থ প্রতিযোগিতা ব্যক্তিজীবন ও সমাজ উভয়ের পক্ষে ক্ষতিকর। তাই প্রতিযোগিতাকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে গ্রহণ করাই যুক্তিসঙ্গত।
১১.৪ সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়।
উত্তর:
সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়
প্রাকৃতিক বিপর্যয় মানবসভ্যতার অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। প্রযুক্তির উন্নতি সত্ত্বেও আজও মানুষ প্রকৃতির কাছে অসহায়। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একের পর এক ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটছে, যার মধ্যে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, অতিবৃষ্টি, ভূমিকম্প, বনানল ও ভূমিধস। এসব বিপর্যয় শুধু প্রাণহানি ঘটাচ্ছে না, ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত করছে পরিবেশ, অর্থনীতি ও মানবজীবনকেও।
গত কয়েক বছরে আবহাওয়ার অস্বাভাবিক পরিবর্তন নজর কাড়ছে। ভারতে আমফান, ইয়াস, মোখা প্রভৃতি ঘূর্ণিঝড় উপকূলীয় অঞ্চলকে বিপর্যস্ত করেছে। বহু ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়ায় মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে অসম, বিহার, পশ্চিমবঙ্গের বহু জেলায় নদী উপচে পড়ে গ্রাম ও শহর প্লাবিত হয়েছে। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় কৃষকরা আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে। অন্যদিকে, হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ ভূমিধস বহু মানুষের প্রাণ কেড়েছে।
বিশ্বব্যাপীও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের তাণ্ডব দেখা যাচ্ছে। জাপান, তুরস্ক ও নেপালে বড় ধরনের ভূমিকম্পে হাজারো মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। গ্রিস, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ায় বনানলের কারণে লক্ষ লক্ষ হেক্টর বনভূমি পুড়ে ছাই হয়েছে। এসব বিপর্যয়ের পেছনে অন্যতম কারণ হলো জলবায়ু পরিবর্তন। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, বরফ গলছে, আবহাওয়া অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। মানুষের নির্বিচার বনধ্বংস, শিল্পকারখানার দূষণ, অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করছে।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষতি কমাতে প্রয়োজন সচেতনতা, প্রস্তুতি এবং পরিবেশবান্ধব জীবনধারা। সরকারকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আরও শক্তিশালী করতে হবে—আধুনিক পূর্বাভাস ব্যবস্থা, দ্রুত উদ্ধারকাজ ও পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রীর ব্যবস্থা করা আবশ্যক। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে প্রকৃতি রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। বৃক্ষরোপণ, প্লাস্টিকমুক্ত পরিবেশ, জল সংরক্ষণ, গ্রিনহাউস গ্যাস কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
সবশেষে বলা যায়, প্রাকৃতিক বিপর্যয় মানবজীবনকে বারবার সতর্ক করে দিচ্ছে—প্রকৃতির সঙ্গে বিরোধ নয়, বরং সহাবস্থানই আমাদের ভবিষ্যতের নিরাপত্তা। প্রকৃতিকে যত বেশি ধ্বংস করা হবে, বিপর্যয়ের তীব্রতাও তত বাড়বে। তাই পরিবেশ রক্ষা, সচেতনতা এবং দায়িত্বশীল আচরণই পারে ভবিষ্যতের প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে অনেকাংশে কমিয়ে আনতে।
MadhyamikQuestionPapers.com এ আপনি অন্যান্য বছরের প্রশ্নপত্রের ও Model Question Paper-এর উত্তরও সহজেই পেয়ে যাবেন। আপনার মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে এই গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ কেমন লাগলো, তা আমাদের কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আরও পড়ার জন্য, জ্ঞান অর্জনের জন্য এবং পরীক্ষায় ভালো ফল করার জন্য MadhyamikQuestionPapers.com এর সাথে যুক্ত থাকুন।
