আপনি কি ২০২৫ সালের মাধ্যমিক Model Question Paper 9 (2025) এর সমাধান খুঁজছেন? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। এই আর্টিকেলে আমরা WBBSE-এর বাংলা Model Question Paper 9 (2025)-এর প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক ও বিস্তৃত সমাধান উপস্থাপন করেছি।
প্রশ্নোত্তরগুলো ধারাবাহিকভাবে সাজানো হয়েছে, যাতে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা সহজেই পড়ে বুঝতে পারে এবং পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ব্যবহার করতে পারে। বাংলা মডেল প্রশ্নপত্র ও তার সমাধান মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত মূল্যবান ও সহায়ক।
MadhyamikQuestionPapers.com, ২০১৭ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষার সমস্ত প্রশ্নপত্র ও সমাধান সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করে আসছে। ২০২৫ সালের সমস্ত মডেল প্রশ্নপত্র ও তার সঠিক সমাধান এখানে সবার আগে আপডেট করা হয়েছে।
আপনার প্রস্তুতিকে আরও শক্তিশালী করতে এখনই পুরো প্রশ্নপত্র ও উত্তর দেখে নিন!
Download 2017 to 2024 All Subject’s Madhyamik Question Papers
View All Answers of Last Year Madhyamik Question Papers
যদি দ্রুত প্রশ্ন ও উত্তর খুঁজতে চান, তাহলে নিচের Table of Contents এর পাশে থাকা [!!!] চিহ্নে ক্লিক করুন। এই পেজে থাকা সমস্ত প্রশ্নের উত্তর Table of Contents-এ ধারাবাহিকভাবে সাজানো আছে। যে প্রশ্নে ক্লিক করবেন, সরাসরি তার উত্তরে পৌঁছে যাবেন।
Table of Contents
Toggle১। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো:
১.১ “কিন্তু বুনো হাঁস ধরাই যে এদের কাজ;”- কথাটি কে বলেছিল?
(ক) রামদাস
(খ) অপূর্ব
(গ) সব্যসাচী
(ঘ) তেওয়ারি
উত্তর: (ক) রামদাস
১.২ “নদেরচাঁদকে পিষিয়া দিয়া চলিয়া গেল”
(ক) ৭নং ডাউন প্যাসেঞ্জার
(খ) ৫নং ডাউন প্যাসেঞ্জার
(গ) ৭নং আপ প্যাসেঞ্জার
(ঘ) ৫নং আপ প্যাসেঞ্জার
উত্তর: (ক) ৭নং ডাউন প্যাসেঞ্জার
১.৩ অমৃত ও ইসাবের বয়স ছিল
(ক) নয়
(খ) এগারো
(গ) দশ
(ঘ) বারো
উত্তর: (গ) দশ
১.৪ ‘নেমে এল তার মাথার ওপর।’ কী নেমে এল?
(ক) মেঘ
(খ) বছর
(গ) মাস
(ঘ)দিন
উত্তর: (খ) বছর
১.৫ স্রষ্টা ঘন-ঘন মাথা নাড়ছিলেন কেন?
(ক) ক্লান্তিতে
(খ) অধৈর্যে
(গ) অসন্তোষে
(ঘ) নিদ্রায়
উত্তর: (খ) অধৈর্যে
১.৬ “গান দাঁড়াল ঋষিবালক” ‘ঋষিবালক’ এখানে
(ক) পবিত্রতার প্রতীক
(খ) হিংসার প্রতীক
(গ) যুদ্ধজয়ের প্রতীক
(ঘ) প্রতিরোধের প্রতীক
উত্তর: (ক) পবিত্রতার প্রতীক
১.৭ খাগের কলম দেখা যায় বর্তমানে সময়।
(ক) কালী পুজোর সময়
(খ) সরস্বতী পুজোর সময়
(গ) দুর্গা পুজোর সময়
(ঘ) পৈতো
উত্তর: (খ) সরস্বতী পুজোর সময়
১.৮ লাউ, কুমড়ো জাতীয় গাছে ফুল হয়
(ক) দু’রকম
(খ) একরকম
(গ) পাঁচরকম
(ঘ) তিনরকম
উত্তর: (ক) দু’রকম
১.৯ ‘International’ শব্দটির যে পরিভাষা আলোচ্য প্রবন্ধে দেওয়া আছে, তা হল
(ক) সার্বজাতিক
(খ) সর্বজনীন
(গ) আন্তর্জাতিক
(ঘ) আন্তঃদেশীয়
উত্তর: (ক) সার্বজাতিক
১.১০ মন্দিরে বাজছিল পূজার ঘণ্টা কারক, নিম্নরেখ পদটি কোন কারকের উদাহরণ?
(ক) কর্তৃকারক
(খ) করণ কারক
(গ) অপাদা
(ঘ) অধিকরণ কারক
উত্তর: (ঘ) অধিকরণ কারক
১.১১ ‘কী ব্যথায় ব্যথিত সে আজ’ রেখাঙ্কিত পদটি হল
(ক) হেতুময় করণ
(খ) কালাত্মক করণ
(গ) সমধাতুজ করণ
(ঘ) যন্ত্রাত্মক করণ
উত্তর: (গ) সমধাতুজ করণ
১.১২ চুলোচুলি হল
(ক) দ্বন্দ্ব সমাস
(খ) দ্বিগু সমাস
(গ) ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস
(ঘ) নিত্যসমাস
উত্তর: (গ) ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস
১.১৩ ‘আঁখি-পাখি’র ব্যাসবাক্যটি হল
(ক) আঁখি রূপ পাখি
(খ) আঁখি পাখির ন্যায়
(গ) আঁখি পাখি যার
(ঘ) আঁখি পাখির পর
উত্তর: (খ) আঁখি পাখির ন্যায়
১.১৪ ‘আবার তোরা মানুষ হ।’ যে ধরনের বাক্যের দৃষ্টান্ত, তা হল
(ক) প্রার্থনাসূচক বাক্য
(খ) অনুজ্ঞাসূচক বাক্য
(গ) অস্তার্থক বাক্য
(ঘ) আবেগসূচক বাক্য
উত্তর: (খ) অনুজ্ঞাসূচক বাক্য
১.১৫ বাক্য নির্মাণের শর্ত
(ক) চারটি
(খ) তিনটি
(গ) দুটি
(ঘ) পাঁচটি
উত্তর: (খ) তিনটি
১.১৬ বাচ্য হল
(ক) ক্রিয়ার প্রকাশভঙ্গি
(খ) ক্রিয়ার রূপান্তর
(গ) ক্রিয়ার বৈচিত্র্য
(ঘ) ক্রিয়ার বিন্যাস
উত্তর: (ক) ক্রিয়ার প্রকাশভঙ্গি
১.১৭ ‘আজকের দিনটা বেশ কাটল’ গঠনগত দিক থেকে বাক্যটি হল
(ক) সরল বাক্য
(খ) জটিল বাক্য
(গ) মিশ্র বাক্য
(ঘ) যৌগিক বাক্য
উত্তর: (খ) জটিল বাক্য
২। কমবেশি ২০টি শব্দে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:
২.১ যে-কোনো চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
২.১.১ “নিমাইবাবু চুপ করিয়া রহিলেন।” নিমাইবাবুর চুপ করে থাকার কারণ কী?
উত্তর: অপূর্ব গিরীশ মহাপাত্রের পোষাক-পরিচ্ছদ দেখে তার সামাজিক অবস্থান ও মর্যাদা অনুমান করতে পারেন। সে কারণে তিনি নিমাইবাবুকে অনুরোধ করেন গিরীশ মহাপাত্রকে ছেড়ে দিতে। কিন্তু নিমাইবাবু এই অনুরোধের উত্তরে কিছু না বলে চুপ করে থাকেন।
২.১.২ কীভাবে নদেরচাঁদের মৃত্যু হয়েছিল?
উত্তর: নদী দর্শন শেষে কর্মস্থলে ফিরতে গিয়ে নদে চাঁদের মনে নদীকে ঘিরে নানা প্রশ্ন জাগে, যা তাকে উতলা করে তোলে। ঠিক সেই সময় পিছন দিক থেকে ৭ নম্বর ডাউন প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ধাক্কায় তার মৃত্যু ঘটে।
২.১.৩ ‘অমৃত দৃঢ়স্বরে বলল,’ অমৃত দৃঢ়স্বরে কী বলল?
উত্তর: অমৃত দৃঢ়স্বরে বলল, অমৃত দৃঢ়স্বরে বলল— ‘না, তাহলে মা আমাকে ঠ্যাঙ্গাবে।’
২.১.৪ ‘গল্প ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা, সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না।’ উদ্দিষ্ট ব্যক্তির আহ্লাদিত হতে না পারার কারণ কী?
উত্তর: তপনের লেখা গল্প পত্রিকায় ছাপা হলেও সে আহ্লাদিত হতে পারে না, কারণ পরিবারের সকলেই মনে করে গল্পটি তপনের নিজের যোগ্যতায় নয়, লেখক মেসোর ‘কারেকশান’-এর কারণেই ছাপা হয়েছে। সকলের প্রশংসার কেন্দ্রে তপনের পরিবর্তে মেসো থাকায় তপনের আনন্দ ম্লান হয়ে যায়। তাই গল্প ছাপার যে গভীর আনন্দ হওয়ার কথা, তা তপন আর অনুভব করতে পারে না।
২.১.৫ ‘পরম সুখ’ বলতে বিরাগী কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর: কথাসাহিত্যিক সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পে বিরাগী স্বয়ং সকল সুখের বন্ধন থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত থাকাকেই ‘পরম সুখ’ হিসেবে বোঝাতে চেয়েছেন।
২.২ যে-কোনো চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
২.২.১ “পায়ে পায়ে হিমানীর বাঁধ” বলতে কী বোঝো?
উত্তর: আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতায় পায়ে পায়ে হিমানীর বাঁধ বলতে বোঝানো হয়েছে সাধারণ মানুষের জীবনের চলার পথে প্রতিটি পদক্ষেপে নানান বাধা ও প্রতিকূলতা প্রতিমুহূর্তে বরফের দেয়ালের মতোই বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে এবং সাধারণ মানুষের জীবনে চলার পথে এসব বাধা, বিপত্তি ও প্রতিকূলতাকে হিমানীর বাঁধের সঙ্গে তুলনা করে বোঝানো হয়েছে।
২.২.২ “আসছে ভয়ংকর।” ভয়ংকর কীভাবে আসছে?
উত্তর: আসছে ভয়ংকর।” ভয়ংকর
বজ্রশিখার মশাল জেলে আসছে।
২.২.৩ “তাহাতে বিচিত্র টঙ্গি” ‘টঙ্গি’ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর: তাহাতে বিচিত্র টঙ্গি” ‘টঙ্গি’ শব্দটির অর্থ হলো–প্ৰসাদ।
২.২.৪ ‘গানের বর্ম আজ পরেছি গায়ে’ গানের বর্ম পরিধান করে কবি কোন্ কাজ করতে পারেন?
উত্তর: জয় গোস্বামী তাঁর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায়
“গানের বর্ম আজ পরেছি গায়ে’ গানের বর্ম পরিধান করে”
কবি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানান যে, তিনি বিশ্বব্যাপী অস্ত্রের ঝনঝন শব্দকে গান দিয়ে জয় করবেন। সেই কারণে তিনি অস্ত্র নয়, গানের বর্ম পরে প্রতিরোধের পথ বেছে নিয়েছেন।
২.২.৫ ‘অসুখী একজন’ কবিতাটি কে বাংলায় তরজমা করেছেন?
উত্তর: ‘অসুখী একজন’ কবিতাটি বাংলায় তরজমা করেছেন নবারুণ ভট্টাচার্য।
২.৩ যে-কোনো তিনটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
২.৩.১ ‘এক সময় বলা হতো’ কী বলা হত?
উত্তর: শ্রীপান্থ তার হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধে “এক সময় বলা হতো’ বলা হত” বলতে জানিয়েছিলেন যে —কলমে কায়স্থ চিনি, গোঁফেতে রাজপুত।
২.৩.২ ‘অভিধা’ কী?
উত্তর: অভিধা হল শব্দের আভিধানিক অর্থ । যেমন , ‘ অরণ্য ‘ বলতে বোঝায় বন , জঙ্গল ইত্যাদি । এর চেয়ে বিশদ কোনো অর্থ বোঝায় না ।
২.৩.৩ রাজশেখর বসুর ছদ্মনাম কী? তিনি কোন্ ধরনের লেখার জন্য জনপ্রিয়?
উত্তর: রাজশেখর বসুর ছদ্মনাম ছিল “পরশুরাম”।
তিনি মূলত তাঁর ব্যঙ্গাত্মক, হাস্যরসাত্মক এবং বিদ্রুপাত্মক ছোটগল্পের জন্য জনপ্রিয়।
২.৩.৪ “কিন্তু দারুণ” কোন্ বস্তুকে ‘দারুণ’ বলা হয়েছে?
উত্তর: “কিন্তু দারুণ” ‘দারুণ’ বলা হয়েছে জাপানি কলমটি কে।
২.৪ যে-কোনো আটটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
২.৪.১ বিপদে মোরে রক্ষা করো কারক বিভক্তি নির্ণয় করো।
উত্তর: বিপদে
– পদঃ বিপদ
– বিভক্তিঃ -এ
– কারকঃ অধিকরণ কারক
২. মোরে
পদঃ মো (আমি) + রে
বিভক্তিঃ -রে
কারকঃ কর্ম কারক
২.৪.২ সম্বোধন পদ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: যে পদ দ্বারা কাউকে ডাকা, আহ্বান করা বা সম্বোধন করা হয়, তাকে সম্বোধন পদ বলে।
উদাহরণ:
ওরে ছেলে, সাবধানে চল!
→ এখানে “ওরে ছেলে” হলো সম্বোধন পদ।
২.৪.৩ ‘দ্বন্দ্ব’ ও ‘বহুব্রীহি’ শব্দদুটির সাধারণ অর্থ কী?
উত্তর: দুই বা ততোধিক বিষয়ের মধ্যে বিরোধ, সংঘর্ষ, বা পরস্পর সম্পর্ক বোঝাতে যে সমাস হয়, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।
উদাহরণ: সুখ-দুঃখ (সুখ ও দুঃখ উভয়)
যে সমাসের ফলে যে বস্তু বোঝায়, তা সমাসপদের বাইরে থাকে — অর্থাৎ সমাসপদগুলো যার গুণ বা পরিচয় দেয়, সে অন্য কিছু — তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।
উদাহরণ: নীলকণ্ঠ (যার কণ্ঠ নীল, অর্থাৎ শিব)
২.৪.৪ প্রদত্ত ব্যাসবাক্যটিকে সমাসবদ্ধ করে তার শ্রেণি নির্ণয় করো শশ অঙ্কে যার।
উত্তর: সমাসবদ্ধ পদ: শশাঙ্ক।
২.৪.৫ তা হতে পারে না বাক্যটিকে অস্ত্যর্থক বাক্যে রূপান্তরিত করো।
উত্তর: “তা অবশ্যই অসম্ভব।”
২.৪.৬ যোগ্যতাহীন বাক্যের একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: “সে কিছুই জানে না, তবুও বড় বড় কথা বলে।”
২.৪.৭ কর্মবাচ্য কাকে বলে?
উত্তর: যে বাক্যে কর্ম বা করণীয় কাজ প্রধান হয়ে ওঠে এবং কর্তা গৌণ হয়, সেই বাক্যকে কর্মবাচ্য বাক্য বলে।
২.৪.৮ কারক কাকে বলে?
উত্তর: কারক হল সেই শব্দ বা পদ, যা ক্রিয়ার সঙ্গে বাক্যের অন্যান্য পদ বা শব্দের সম্পর্ক বোঝায়।
২.৪.৯ “কে বাজার আনল?” বাক্যটির বাচ্য পরিবর্তন করো।
উত্তর: বাজারটি কার দ্বারা আনা হল?
২.৪.১০ লুপ্তকর্তা ভাববাচ্যের সংজ্ঞা উদাহরণসহ বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: যে ভাববাচ্য বাক্যে কর্তার নাম বা পরিচয় উল্লেখ থাকে না, অর্থাৎ কর্তা অজ্ঞাত বা লুপ্ত থাকে, তাকে লুপ্তকর্তা ভাববাচ্য বলে।
৩। প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কমবেশি ৬০ শব্দে উত্তর দাও:
৩.১ যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
৩.১.১ “তপন বিহ্বল দৃষ্টিতে তাকায়।” তপন কখন, কেন এমন আচরণ করেছিল?
উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প থেকে এই অংশটি নেওয়া হয়েছে। যখন তপনের লেখা গল্পটি নিয়ে বাড়িতে আলোচনা চলছিল এবং ছোটোমেসো তার লেখার প্রশংসা করছিলেন, সেই সময় তপন বিহ্বল হয়ে পড়ে।
তপনের বিহ্বলতার কারণ:
যে গল্পটি তপন আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখেছিল, সেটিই ছিল তার সৃষ্টিশীলতার প্রথম প্রকাশ। গল্পটি পত্রিকায় ছাপা হবে – এই আশা তপনকে আনন্দে উদ্বেল করে তোলে। নতুন মেসো তার লেখার এবং বিষয় নির্বাচনের প্রশংসা করে বলেন, “ওর হবে।”
একজন প্রতিষ্ঠিত লেখকের মুখে এমন আশাব্যঞ্জক মন্তব্য শুনে তপন অতিরিক্ত আনন্দে বিহ্বল আচরণ করেছিল।
৩.১.২ “এই জানোয়ারটাকে ওয়াচ করবার দরকার নেই।” কে, কার সম্পর্কে একথা বলেছেন? বস্তুব্যের কারণ কী?
উত্তর: উক্তিটির প্রাসঙ্গিকতা:
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘পথের দাবী’ উপন্যাসের অন্যতম চরিত্র সব্যসাচী ওরফে গিরীশ মহাপাত্র সম্পর্কে এই মন্তব্যটি করেছেন পুলিশকর্মী জগদীশবাবু।
গিরীশ মহাপাত্রের অদ্ভুত ও হাস্যকর পোশাক, গাঁজা সেবনের অভ্যাস এবং কথাবার্তার ধরন দেখে জগদীশবাবুর মনে হয়, সে একজন অত্যন্ত নিকৃষ্ট শ্রেণির মানুষ। তার মতে, গিরীশ কখনোই দুর্ধর্ষ বিপ্লবী সব্যসাচী হতে পারে না।
ফলে তাকে নিয়ে সতর্ক হওয়ারও বিশেষ কোনো প্রয়োজন নেই বলে তিনি মনে করেন। এই কারণেই তিনি গিরীশ মহাপাত্র সম্পর্কে প্রশ্নোত্ত মন্তব্যটি করেন।
৩.২ যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
৩.২.১ “অস্ত্র ফ্যালো, অস্ত্র রাখো গানের দুটি পায়ে…” কথাটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: কবি জয় গোস্বামী তাঁর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় যুদ্ধবাজ মানুষদের উদ্দেশ্যে এই আহ্বানটি জানিয়েছেন । ক্ষমতার নেশায় মেতে ওঠা মানুষ নিজের শ্রেষ্ঠত্বকে প্রতিষ্ঠা করতে হাতে অস্ত্র তুলে নেয়,অস্ত্র হিংসার প্রতীক । কবি বলতে চেয়েছেন মানুষের পৃথিবীতে অস্ত্রের কোনো প্রয়োজন নেই, কারণ অস্ত্রই সভ্যতার শেষ কথা নয় । তাই কবি অস্ত্র ফেলে গানকেই জীবনযুদ্ধের হাতিয়ার করতে বলেছেন । এখানে কবির মানবদরদী মনোভাবটি প্রকাশিত।
৩.২.২ “পঞ্চকন্যা পাইলা চেতন।” ‘পঞ্চকন্যা’ কারা? তারা কীভাবে চেতনা ফিরে পেল?
উত্তর: আরাকান রাজসভার শ্রেষ্ঠ কবি সৈয়দ আলাওল রচিত ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের অন্তর্গত ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতা থেকে প্রদত্ত অংশটি নেওয়া হয়েছে।
সিন্ধুতীরে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকা অপরূপা কন্যাসহ তার চার সখীকে পঞ্চকন্যা বলে অভিহিত করা হয়েছে। সমুদ্র কন্যা পদ্মা সিন্ধুতীরে পড়ে থাকা ভেলা মধ্যস্থ পঞ্চকন্যাকে উদ্ধার করেন। তাদের চেতনা ফেরানোর জন্য পদ্মা সর্বপ্রথম নিরঞ্জন-এর কাছে প্রার্থনা করেন। সেই সঙ্গে চলতে থাকে উপযুক্ত চিকিৎসার আয়োজন। পদ্মার নির্দেশে সখীরা পঞ্চকন্যাকে নববস্ত্রে ঢেকে উদ্যান মাঝে নিয়ে যান। সেখানে আগুনের শেক দিয়ে এবং তন্ত্র-মন্ত্র ও মহৌষধি প্রয়োগ করে দণ্ড চারেক অক্লান্ত সেবা-শুশ্রূষার পর কন্যা চেতনা ফিরে পায়।
৪। কমবেশি ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
৪.১ ‘এই একঘেয়ে অভাবটাকে সহ্য করতে হরিদার আপত্তি নেই, কিন্তু একঘেয়ে কাজ করতে ভয়ানক আপত্তি।’ নিরিখে হরিদার চরিত্র বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: ভূমিকা:
সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পের অন্যতম উল্লেখযোগ্য চরিত্র হলেন হরিদা। এই চরিত্রের মাধ্যমে লেখক তুলে ধরেছেন এক স্বাধীনচেতা, শিল্পমনস্ক, আত্মমর্যাদাবোধে ভরপুর একজন মানুষকে, যিনি আর্থিক দারিদ্র্যের মধ্যেও নিজের পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে আপসহীন। প্রশ্নোক্ত উক্তিটি হরিদার চরিত্রের এই বৈশিষ্ট্যকেই গভীরভাবে প্রকাশ করে।
দারিদ্র্যের মধ্যে আত্মমর্যাদা:
হরিদা অত্যন্ত দরিদ্র ছিলেন। শহরের সবচেয়ে সরু ঘরে তাঁর বাস, দিন গুজরানের জন্য তাঁকে কখনো কখনো ‘বহুরূপী’ সেজে পথে নামতে হতো। তবু অভাব নিয়ে তাঁর আপত্তি নেই, কারণ তিনি দারিদ্র্যকে গ্রহণ করেছিলেন মর্যাদার সঙ্গে, কিন্তু একঘেয়ে চাকরি বা একঘেয়ে জীবনযাপন তাঁর কাছে অমর্যাদাজনক বলে মনে হতো।
স্বাধীনচেতা ও স্বাতন্ত্র্যবোধে পরিপূর্ণ:
তিনি কারও অধীনে কাজ করতে পছন্দ করতেন না। সময় ধরে বাঁধাধরা কাজের মধ্যে তিনি নিজের সত্তার অবমূল্যায়ন দেখতেন। তাই তাঁর মধ্যে ছিল অদম্য স্বাধীনচেতা মনোভাব ও সৃজনশীলতার তাগিদ।
মানুষে মিশে যাওয়া সহজাত গুণ:
হরিদা মিশুকে প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তাঁর ঘরে পাড়ার ছেলেরা আড্ডা দিত। এতে বোঝা যায়, তিনি সমাজবদ্ধ, প্রাণবন্ত এবং সদালাপী চরিত্রের মানুষ ছিলেন।
আধ্যাত্মিক প্রবণতা:
একজন সন্ন্যাসীর আগমনের সংবাদ শুনে হরিদা বলেন—”থাকলে একবার গিয়ে পায়ের ধুলো নিতে পারতাম।” এই উক্তি তাঁর আধ্যাত্মিক মনোভঙ্গি ও বিনয়ী মানসিকতার পরিচায়ক।
কৌতুকপ্রিয় ও শিল্পসত্তার বহিঃপ্রকাশ:
হরিদা মানুষের মধ্যে হাসি-আনন্দ ছড়িয়ে দিতে ভালোবাসতেন। তাঁর ছদ্মবেশ মানুষকে মুগ্ধ করত, ভাবাত, আবার হাসাতও। এতে বোঝা যায়, তিনি কেবল বাহ্যিক রূপে নয়, অন্তরের শিল্পে নিপুণ ছিলেন।
একজন নিপুণ বহুরূপী:
তাঁর বহুরূপী ছদ্মবেশ এতটাই নিখুঁত ছিল যে, মানুষ অনেক সময় আসল-নকল বুঝতেই পারত না। তিনি প্রতারণার জন্য রূপধারণ করতেন না, বরং মানুষকে আনন্দ দেওয়াই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য।
মূল্যায়ন:
হরিদার চরিত্রে দেখা যায় দারিদ্র্যের মধ্যে গৌরব, কাজের মধ্যে স্বাধীনতা, শিল্পের মধ্যে আনন্দ। তিনি একঘেয়ে জীবনের বিরোধিতা করেন, কারণ তা মানুষকে যন্ত্রে পরিণত করে। তার বিশ্বাস—জীবন হোক বৈচিত্র্যময়, তবেই তা অর্থবহ।
উপসংহার:
সাহিত্যিক সুবোধ ঘোষ হরিদার চরিত্রের মাধ্যমে এক মানবিক শিল্পীসত্তাকে তুলে ধরেছেন, যার কাছে জীবনের মানে কাজ নয়, সৃষ্টিশীলতা; দারিদ্র্য নয়, আত্মমর্যাদা। তাই হরিদা একঘেয়ে কাজকে ঘৃণা করলেও অভাবকে গর্বের সঙ্গে বরণ করেন।
৪.২ ‘অমৃতের মতো ছেলে পেলে আমি একুশজনকেও পালন করতে রাজি আছি।’ কে, কাকে একথা বলেছেন? তাঁর এই উক্তির কারণ গল্প অনুসরণে লেখো।
উত্তর: উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা হলেন ইসাবের বাবা হাসান পাঠান। তিনি এই কথা বলেন অমৃতের মা বাহালিকে।
এই উক্তির পেছনে একটি আবেগঘন কারণ রয়েছে।
গল্পে দেখা যায়, কালিয়ার সঙ্গে কুস্তি লড়তে গিয়ে সেই সময় ইসাবের জামাটি ছিঁড়ে যায়। ইসাব এতে ভয় পেয়ে কাঁদতে থাকে, কারণ সে জানে জামা ছিঁড়ে যাওয়ায় তার বাবা তাকে মারবেন। তখন অমৃত নিজের নতুন জামাটি খুলে ইসাবকে দিয়ে দেয় এবং বলে যে, “আমার মা আমাকে বাবার হাত থেকে বাঁচাবেন, কিন্তু তোর তো মা নেই।”
এই ঘটনা আড়াল থেকে ইসাবের বাবা শুনে ফেলেন। তিনি এক শিশুর মধ্যে বন্ধুর প্রতি এইরকম সহানুভূতি, ভালবাসা ও উদারতা দেখে মুগ্ধ হন। তাই তিনি বলেন,
“অমৃতের মতো ছেলে পেলে আমি একুশজনকেও পালন করতে রাজি আছি।”
এই উক্তি অমৃতের নিঃস্বার্থ মনোভাব ও মানবিক গুণের প্রশংসা স্বরূপ।
৫। কমবেশি ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
৫.১ ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় কবি কোন পরিস্থিতিতে, কীভাবে সংঘবদ্ধ হতে বলেছেন?
উত্তর: যুদ্ধের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে মানুষের বাসস্থান। প্রতিদিন কেউ না কেউ স্বজনহারা হয়েছে। ‘শিশুদের শব’ ‘কাছে দূরে’ ছড়িয়ে রয়েছে। রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ভিত্তি আজ বিধ্বস্তু। মানুষকে সাহায্য করার কেউ নেই। তাদের অস্তিত্ব সংকটাপন্ন। এমন পরিস্থিতিতে কবিতার কথক আহ্বান করেছেন,।
প্রত্যেকে যেন প্রত্যেকের হাতে হাত মিলিয়ে এই প্রাণঘাতী বিপর্যয় থেকে মুক্ত হতে এগিয়ে আসে। ‘বেঁধে বেঁধে থাকি’ শব্দবন্ধটিতে একটি দৃঢ়, সংঘবদ্ধ ও গভীর বিশ্বাসের স্বর উদ্ভাসিত হয়েছে। ‘আরো’ অব্যয়টির প্রয়োগে সেই একতা ও শপথের সুর যেন দ্বিগুণিত হয়।
৫.২ ‘মন্ত্র জাগাচ্ছিল,’ কে, কার মধ্যে এই মন্ত্র জাগাচ্ছিল। এই মন্ত্রের তাৎপর্য কী?
উত্তর: পরিচিতি:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘আফ্রিকা’ কবিতাটি আধুনিক কালের একটি গুরুত্বপূর্ণ মানবতাবাদী কবিতা। এখানে তিনি আফ্রিকার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য, ইতিহাস ও বঞ্চনার কথা গভীর সহানুভূতির সঙ্গে প্রকাশ করেছেন। কবিতার সূচনায় তিনি বলেন, সৃষ্টির আদিলগ্নে প্রকৃতি তার ‘দৃষ্টি-অতীত জাদু’ দিয়ে আফ্রিকার হৃদয়ে ‘মন্ত্র’ জাগিয়ে তোলে।
তাৎপর্য:
কবির মতে, সভ্যতার সীমার বাইরে থাকা প্রকৃতিই প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করার পথ দেখিয়েছে। সেই প্রকৃতির জাদুই আফ্রিকার মানুষকে বেঁচে থাকার মন্ত্র শিখিয়েছে। নৃতত্ত্ববিদদের মতে, মানবজাতির উৎপত্তি হয়েছে আফ্রিকাতেই, যেখান থেকে মানুষ পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। সেই অর্থে আফ্রিকা সভ্যতার জন্মভূমি। সৃষ্টির শুরু থেকেই প্রকৃতি সেখানে তৈরি করেছে জীবনযাপন ও সংস্কৃতির নিজস্ব ছন্দ। দুর্গম অরণ্য ও মরুভূমির রহস্যই আফ্রিকার শক্তি। প্রতিকূল পরিবেশে প্রকৃতিই আফ্রিকার সহায় হয়ে ওঠে। ভয়ংকর আফ্রিকা ভয় জয় করে টিকে থাকতে চেয়েছে, আর প্রকৃতির শক্তি তার পাশে থেকেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, উনিশ শতকের আগে ইউরোপীয় দেশগুলি প্রাকৃতিক দুর্গমতার কারণে আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন করতে পারেনি। প্রকৃতির এই আশ্রয়ই আফ্রিকার রক্ষাকবচ হয়ে উঠেছিল।
৬। কমবেশি ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
৬.১ ‘ফাউন্টেন পেন’ বাংলায় কী নামে পরিচিত। নামটি কার দেওয়া বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ফাউন্টেন পেন-এর জন্ম ইতিহাস লেখো।
উত্তর: ‘ফাউন্টেন পেন’ – প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য
নিখিল সরকার ওরফে শ্রীপান্থ রচিত ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে ‘ফাউন্টেন পেন’ বা ঝরনা কলমের একটি ঐতিহাসিক বিবরণ পাওয়া যায়। এই কলমটি বাংলায় ‘ঝরনা কলম’ নামে পরিচিত, আর এই নামকরণের কৃতিত্ব বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বলে প্রাবন্ধিক উল্লেখ করেছেন।
মূলত, ‘ফাউন্টেন পেন’ আবিষ্কারের পেছনে রয়েছে এক বাস্তব ঘটনা। এই কলমের পূর্বরূপ ছিল ‘রিজার্ভার পেন’। একে আরও উন্নত করে ‘ফাউন্টেন পেন’ তৈরি করেন লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান নামক এক আমেরিকান ব্যবসায়ী। একবার একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরের সময়, দোয়াতে রাখা কালি হঠাৎ কাগজে ছড়িয়ে পড়ে যায়। ফলে ওয়াটারম্যানকে নতুন কালি আনতে বাইরে যেতে হয়। তিনি ফিরে এসে দেখেন, ততক্ষণে এক তৎপর ব্যবসায়ী ওই চুক্তি সেরে ফেলেছেন। এই ঘটনার ফলেই ওয়াটারম্যান এমন একটি কলম আবিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেন, যার মধ্যে নিজস্ব কালি সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা থাকবে।
এইভাবেই ‘ফাউন্টেন পেন’-এর জন্ম হয়। কলমটি যেন সত্যিই ‘কালির ফোয়ারা’ খুলে দিয়েছিল – শুধু লেখার মাধ্যম হিসেবেই নয়, বরং সময়ের প্রয়োজনে প্রযুক্তির উৎকর্ষের একটি নিদর্শন হিসেবেও।
৬.২ বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার অসুবিধা ও তার থেকে উত্তরণের পন্থাগুলি আলোচনা করো।
উত্তর: ভূমিকা:
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চা একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয় হলেও তা অমূলক নয়। বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসু তাঁর “বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান” প্রবন্ধে এই বিষয়টির গভীর বিশ্লেষণ করেছেন। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চায় নানা রকম অসুবিধা থাকলেও তা দূর করার উপযুক্ত পন্থাও তিনি নির্দেশ করেছেন।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার অসুবিধাসমূহ:
১. ইংরেজি নির্ভরতা:
যাঁরা ইংরেজিতে বিজ্ঞানের পাঠ নিয়েছেন, তাঁদের পক্ষে বাংলায় বিজ্ঞানচর্চা বেশ কঠিন। তাঁরা ইংরেজিতে অধিক স্বচ্ছন্দ।
২. পারিভাষিক শব্দের অভাব:
বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বিজ্ঞানভিত্তিক যথাযথ পারিভাষিক শব্দ গঠনের অভাব রয়ে গেছে।
৩. সাধারণ মানুষের বিজ্ঞানবোধের অভাব:
পাশ্চাত্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশের মানুষের বিজ্ঞানমনস্কতা কম। ফলে অনেকের পক্ষেই বাংলায় লেখা বিজ্ঞানরচনা বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে।
৪. সহজীকরণের প্রচেষ্টার সীমাবদ্ধতা:
অনেক সময় লেখকরা পারিভাষিক শব্দ বাদ দিয়ে রচনাকে সহজ করতে চাইলেও তা যথেষ্ট কার্যকর হয়নি।
৫. ভাষার আড়ষ্টতা ও অনুবাদজনিত সমস্যা:
অনেক রচনায় ইংরেজি বাক্য গঠনের আক্ষরিক অনুবাদ দেখা যায়, যার ফলে রচনার স্বাভাবিকতা ও স্পষ্টতা হারিয়ে যায়।
৬. ভুল তথ্য উপস্থাপন:
বিজ্ঞানসম্বন্ধীয় পরিপূর্ণ জ্ঞান ছাড়া অনেক লেখক রচনা করেন, যার ফলে ভুল তথ্য পরিবেশিত হয়।
৭. অপ্রাসঙ্গিক অলংকার প্রয়োগ:
বিজ্ঞানরচনায় উপমা ও রূপকের অতিরিক্ত বা অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার বিষয়বস্তুর গাম্ভীর্য নষ্ট করে দেয়।
উত্তরণের পথসমূহ:
১. বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানপাঠের অভ্যাস গড়ে তোলা:
ইংরেজিনির্ভর শিক্ষার্থীদের বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানপাঠে আগ্রহী করে তুলতে হবে। এজন্য পাঠ্যক্রম ও পাঠপ্রণালিতে পরিবর্তন আনতে হবে।
২. সাধারণ মানুষের বিজ্ঞানবোধ জাগানো:
গণবিজ্ঞান আন্দোলনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিজ্ঞানচেতনা ও যুক্তিবাদী দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে হবে।
৩. উপযুক্ত পারিভাষিক শব্দ গঠন:
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চা সফল করতে বিজ্ঞানভিত্তিক নিখুঁত ও গ্রহণযোগ্য পারিভাষিক শব্দভাণ্ডার গড়ে তুলতে হবে।
৪. সহজীকরণে ভারসাম্য বজায় রাখা:
রচনাকে সহজ করার সময় মূল ভাব, যুক্তি ও তথ্যের গভীরতা যেন ক্ষুণ্ণ না হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
৫. অনুবাদে সাবলীলতা বজায় রাখা:
বাংলা থেকে ইংরেজি কিংবা ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদে ভাষার স্বাভাবিক ছন্দ ও মূল বক্তব্য অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।
উপসংহার:
যদিও বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাধা রয়েছে, তবুও পরিকল্পিত প্রয়াস, সচেতন মানসিকতা ও যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করলে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চা একদিন সমৃদ্ধ ও সর্বজনগ্রাহ্য হয়ে উঠতে পারে।
৭। কমবেশি ১২৫ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
৭.১ ‘আমার রাজ্য নাই, তাই আমার কাছে রাজনীতিও নাই– আছে শুধু প্রতিহিংসা । — কে, কাকে একথা বলেছেন। এই উদ্ভিতে বস্তার কোন্ মানসিকতা ধরা পড়েছে?
উত্তর: উক্ত উক্তিটি ঘসেটি বেগম নবাব সিরাজদ্দৌলাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন। নবাব আলিবর্দি খাঁর কোনো পুত্র না থাকায় তিনি তৃতীয় কন্যার পুত্র সিরাজদ্দৌলাকে উত্তরাধিকারী হিসেবে মনোনীত করেন। সিরাজ সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হলে ঘসেটি বেগম অসন্তুষ্ট হন, কারণ তিনি চেয়েছিলেন শওকত জঙ্গ বাংলার নবাব হোক। এই কারণে তিনি সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন।
সিরাজ ষড়যন্ত্রের আঁচ পেয়ে ঘসেটিকে বন্দি করেন। বন্দি অবস্থায় ঘসেটি এই উক্তির মাধ্যমে তাঁর হৃদয়ে জমে থাকা ক্রোধ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। উক্তিটির মাধ্যমে তাঁর হতাশা, ব্যর্থতা এবং প্রতিহিংসাপরায়ণ মানসিকতা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। রাজ্য হারিয়ে রাজনৈতিক ক্ষমতা না থাকলেও, প্রতিশোধস্পৃহাই তাঁর মূল চালিকাশক্তি হয়ে ওঠে।
৭.২ “কলকাতা জয়ের ইতিহাস তুমি জান।” কে, কাকে বলেছেন। ইতিহাসটি সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর: উক্তি:
“কলকাতা জয়ের ইতিহাস তুমি জান।” — এই উক্তিটি শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত রচিত “সিরাজদ্দৌলা” নাটক থেকে গৃহীত।
কে বলেছেন, কাকে বলেছেন:
এই উক্তিটি নবাব সিরাজদ্দৌলা লর্ড ক্লাইভ-কে উদ্দেশ্য করে বলেছেন।
ইতিহাসটি সংক্ষেপে:
১৭৫৬ সালে সিরাজদ্দৌলা নবাব হওয়ার পর, তিনি ইংরেজদের বেআইনি কার্যকলাপ ও কেলকাঠি নাড়ার বিরুদ্ধে কঠোর হন। কলকাতায় ব্রিটিশরা গোপনে দুর্গ মেরামত ও অস্ত্র সঞ্চয়ের কাজ করছিল, যা নবাবের আদেশ অমান্য করেই করা হচ্ছিল।
এতে ক্রুদ্ধ হয়ে সিরাজদ্দৌলা কলকাতার দিকে রওনা দেন এবং ২০ জুন ১৭৫৬ সালে কলকাতা দখল করেন। এই অভিযান ইতিহাসে “কলকাতা জয়ের যুদ্ধ” নামে পরিচিত।
ঐ উক্তির মাধ্যমে সিরাজদ্দৌলা কী বোঝাতে চেয়েছেন:
নবাব ক্লাইভকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে, কলকাতা একসময় ইংরেজদের হাত থেকে তিনি দখল করেছিলেন, অর্থাৎ ইংরেজদের শক্তি অমোঘ নয়—তাঁর প্রতিরোধের ইতিহাস আছে। এটি ছিল নবাবের আত্মবিশ্বাস ও শক্তির স্মারক।
৮। কমবেশি ১৫০ শব্দে যে-কোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
৮.১ ‘আপনি আমার থেকে চার হাজার গুণ বড়োলোক, কিন্তু চার লক্ষ টাকা খরচ করেও আপনি নিজে শরীরটাকে চাকর বানাতে পারবেন না।’ বস্তা কাকে, কেন একথা বলেছিলেন?
উত্তর: বক্তা ও উদ্দিষ্ট ব্যক্তি:
মতি নন্দী রচিত ‘কনি’ উপন্যাসের প্রথম পরিচ্ছেদে আলোচ্য কথাটি বলেছেন ক্ষিতীশ সিংহ। তিনি এই উক্তিটি বলেন ধনী ব্যবসায়ী বিষ্টুচরণ ধরকে উদ্দেশ্য করে।
এ কথা বলার কারণ:
1. বিষ্টুচরণ ধরের বিশালাকৃতি দেহ:
বিষ্টুচরণ ধর ছিলেন সাড়ে তিন মন ওজনের এক বিশালদেহী ব্যক্তি। তাঁর দেহকে বিচিত্র ভঙ্গিতে মালিশ করাতে দেখে ক্ষিতীশ সিংহ ব্যঙ্গ করে তাঁকে হাতি ও হিপোপটেমাসের সঙ্গে তুলনা করেন। এমনকি ক্ষিতীশ বলেন, তিনি চাইলে বিষ্টুকে চাঁটি মেরে পালিয়ে যেতে পারেন।
2. শরীরের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব:
বিষ্টুবাবু দাবি করেন, তাঁর খাওয়ায় লোভ নেই। কিন্তু তিনি যে কত রকম ডায়েটের নিয়ম মানেন, তা শুনে ক্ষিতীশ সিংহ বিদ্রুপ করে বলেন, “এত কেচ্ছাসাধন করেন!” ক্ষিতীশ তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেন যে অতিরিক্ত ওজন তাঁর হৃদযন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক এবং শরীরকে চাকর বানানো প্রয়োজন।
3. ইচ্ছাশক্তির দ্বারা শরীর পরিচালনা:
ক্ষিতীশ সিংহ মনে করেন, মন বা ইচ্ছাশক্তির দ্বারা শরীরকে পরিচালনা করা উচিত। তিনি বলেন, সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হলে শরীরচর্চা, পরিমিত খাওয়া-দাওয়া এবং জীবনযাপন সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি।
4. ক্ষিতীশ সিংহের শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা:
বয়সে বড়ো হয়েও ক্ষিতীশ সিংহ শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে বিষ্টুবাবুর তুলনায় অনেক শক্তিশালী। বিষ্টু যত জোরই লাগান না কেন, ক্ষিতীশের হাত একটুও নড়াতে পারেন না। তখনই ক্ষিতীশ সিংহ আলোচ্য উক্তিটি করেন।
৮.২ ‘কোনির সংগ্রাম দ্রারিদ্র্যের বিরুদ্ধে, চক্রান্তের বিরুদ্ধে, পরিবেশ পরিস্থিতির বিরুদ্ধে, এমনকি ভাগ্যের বিরুদ্ধেও।’ আলোচনা করো।
উত্তর: “কোনি” উপন্যাসের প্রধান চরিত্র কোনি। সে এক দরিদ্র পরিবার থেকে আসে এবং তার জীবন ছিল সংগ্রামমুখর। কোনি যে যাত্রা শুরু করেছিল, তার সংগ্রাম ছিল শুধুমাত্র নিজেকে প্রমাণ করার, দেশের বড় মঞ্চে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার এবং তার স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার।
কোনির জীবনসংগ্রাম শুরু হয় যখন তার প্রশিক্ষক খিদ্দা তাকে খুঁজে বের করেন। কোনির মধ্যে যে বিশেষ প্রতিভা ছিল তা তিনি দ্রুত বুঝতে পারেন। খিদ্দা কোনির প্রতি এক অদ্ভুত বিশ্বাস ও আশা রাখেন। তিনি কোনিকে তাঁর কঠোর প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন, যদিও কোনির পরিবারে অর্থের সংকট ছিল। কোনির প্রয়োজনীয় পোশাক, খাবার, জীবনের প্রাথমিক সুবিধা ছিল না, কিন্তু খিদ্দা তাকে সাহস জোগান। খিদ্দা জানতেন, কোনি দারিদ্র্যকে অতিক্রম করতে পারলে তার কাছে সাফল্য অটুট থাকবে।
কোনির সংগ্রাম শুধু প্রশিক্ষণ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল না, সে প্রচণ্ড অবহেলা, তাচ্ছিল্য এবং অসম্মানও সহ্য করেছে। ক্লাবের অন্যান্য সদস্যরা তার দরিদ্রতা এবং অবস্থা নিয়ে হাস্যরস করত, তবে কোনি এগুলোর প্রতিবাদ করতে না পারলেও, সে কখনও হাল ছাড়েনি। জাতীয় দলে নির্বাচিত হলেও প্রতিযোগিতায় অপ্রত্যাশিত কারণে বাদ পড়ে, তাও তাকে ভেঙে দেয়নি। তার জীবনের মূল মন্ত্র ছিল, “লড়তে লড়তে শিখে যাবি”, যা তাকে সব বাধা অতিক্রম করার জন্য প্রেরণা জোগাত।
তবে, সমস্ত প্রতিবন্ধকতা ও হতাশা কাটিয়ে কোনি একদিন বড় সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে এবং তার দক্ষতা প্রমাণ করে। খিদ্দার প্রতি তার শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস ছিল অপরিসীম, এবং খিদ্দা নিজের পিতৃতুল্য হয়ে কোনিকে প্রতিটি পদক্ষেপে সমর্থন করেছেন।
উক্তির যথার্থতা:
“জীবনসংগ্রামের অপর নাম কোনি” — এই উক্তি সম্পূর্ণরূপে সঠিক, কারণ কোনির জীবন ছিল এক বিশাল সংগ্রামের প্রতিফলন। সে সব সময়ই সঠিক পথ অনুসরণ করেছে এবং নিজের পরিশ্রম, সাহস ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করেছে। কোনির সংগ্রাম শুধু একটি খেলার প্রশিক্ষণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং এটি ছিল তার আত্মবিশ্বাস, লক্ষ্য এবং জীবনের প্রতি তার অপরিসীম ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার ফলস্বরূপ। তার জীবনের সমস্ত পদক্ষেপ ছিল সংগ্রাম, তার হতাশা কাটানো এবং নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানোর প্রতীক।
“জীবনসংগ্রামের অপর নাম কোনি” এই উক্তি যে কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা চরিত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি পুরো একটি জীবনধারা এবং সংগ্রামের ধারক। এই উক্তি দ্বারা কোনির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ পায়, কারণ তার সংগ্রাম এক নতুন অর্থ নিয়ে উঠে আসে।
৮.৩ হিয়া মিত্র চরিত্রটি বর্ণনা করো।
উত্তর: হিয়া মিত্র অভিজাত ও বিত্তবান পরিবারের সন্তান। কোনির মতো দারিদ্র্যের সঙ্গে সংগ্রাম করে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার চ্যালেঞ্জ তাকে নিতে হয়নি। বালিগঞ্জ সুইমিং ক্লাবের পৃষ্ঠপোষকতা এবং প্রণবেন্দু বিশ্বাসের মতো কোচ পেতেও তাকে কোনো লড়াই করতে হয়নি।
তবে, বিত্তবান পরিবারের মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও হিয়া কখনও অহঙ্কার করে না। সে মাটির কাছাকাছি পায়ে চলতে জানে। অমিয়ার মতো কটূক্তি বা অপমানজনক মন্তব্য কখনও হিয়ার মুখে শোনা যায় না। বরং, সে মজা করে বেলার ক্রিমের কৌটো থেকে ক্রিম নিয়ে নিজে মেখে কোনির গালেও লাগিয়ে দেয়। এই সহজ সরল ঘটনার কারণে কোনির কাছ থেকে একবার চড়ও খেতে হয় হিয়াকে।
ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে রিলে রেসে অমিয়ার পরিবর্তে কোনিকে ডাকার জন্য ছুটে আসে হিয়াই। গোটা উপন্যাসে হিয়ার মুখে কোনির বিরুদ্ধে শুধু দুটি কথা শোনা যায়— এক, “অত হিংসে ভালো নয়” এবং দুই, যখন কোনি রিলেতে নামতে রাজি হয় না, তখন বলে, “কোনি, তুমি আনস্পোর্টিং।”
হিয়া ছিল কোনির দুর্বলতা। হিয়াকে পরাজিত করার লক্ষ্য থেকেই যেন কোনির সাফল্যের সূত্রপাত ঘটে। তাই কোনির উত্থানের পিছনে হিয়া মিত্রের পরোক্ষ অবদানকে অস্বীকার করা যায় না।
৯। চলিত প্রদো বঙ্গানুবাদ করো:
Student life is the stage of preparation for future. This is the most important period of life. A student is young today, but he will be a man tomorrow. He has different duties.
উত্তর: ছাত্রজীবন ভবিষ্যতের প্রস্তুতির এক পর্যায়। এটি মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। একজন ছাত্র আজ কিশোর, কিন্তু ভবিষ্যতে সে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ হবে। তার বিভিন্ন দায়িত্ব থাকে।
১০। কমবেশি ১৫০ শব্দে নীচের যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
১০.১ ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি কাল্পনিক সংলাপ রচনা করো।
উত্তর: ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক নিয়ে দুই বন্ধুর কাল্পনিক সংলাপ
রাহুল: কিরে সুমন, আজ তোকে খুব মনমরা লাগছে। কী হয়েছে?
সুমন: আজ আমাদের অঙ্কের স্যার আমায় ক্লাসে ডেকে বকেছে। খুব অপমানিত লাগল।
রাহুল: তাই বল! কিন্তু শিক্ষকরা তো আমাদের শিখিয়ে মানুষ করতেই বকেন। তোকে হয়তো ভালোবাসা থেকেই বলেছেন।
সুমন: জানি, কিন্তু আজ একটু বেশিই রেগে গেলেন। আমার মনটা খারাপ হয়ে গেছে।
রাহুল: বুঝতে পারছি। কিন্তু ভেবে দেখ, আমাদের ভুল ধরিয়ে দিয়ে তাঁরা আমাদের জীবনের পথ দেখান। সম্পর্কটা তো শুধু পড়ানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়—ভালোবাসা, শাসন, অনুপ্রেরণা—সবই এর অংশ।
সুমন: ঠিক বলেছিস। আসলে আজ এতটা মনখারাপ না করলেও চলত। কাল স্যারের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইব।
রাহুল: খুব ভালো করবি। দেখবি, স্যারও খুশি হবেন। ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কটা বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার উপর দাঁড়িয়ে থাকে।
সুমন: হ্যাঁ রে, তুই না থাকলে আমি এতটা ভাবতেই পারতাম না!
১০.২ ‘মোবাইল ছাত্রদের সর্বনাশ করছে’ এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।
উত্তর: মোবাইল ছাত্রদের সর্বনাশ করছে
বর্তমান যুগ প্রযুক্তির যুগ। মোবাইল ফোন এখন প্রায় প্রতিটি ছাত্রের হাতেই দেখা যায়। যদিও এটি যোগাযোগ ও তথ্য আহরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম, তবে অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার ছাত্রদের জন্য ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনছে।
অনেক ছাত্র মোবাইল ফোনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ভিডিও গেম ও বিনোদনে ডুবে থাকে। এতে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ কমে যায়, মনঃসংযোগ নষ্ট হয় এবং ফলাফল খারাপ হতে শুরু করে। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যেও এর প্রভাব পড়ে—চোখের সমস্যা, নিদ্রাহীনতা ও মেজাজের পরিবর্তন এর উদাহরণ।
অভিভাবক ও শিক্ষকদের উচিত, ছাত্রদের মোবাইল ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ রাখা এবং পড়াশোনার প্রতি উৎসাহ জাগিয়ে তোলা। সচেতন ব্যবহারই মোবাইলকে আশীর্বাদ করে তুলতে পারে, নচেৎ এটি সর্বনাশ ডেকে আনবেই।
– প্রতিবেদক
বিদ্যালয় বার্তা পত্রিকা
১১। যে-কোনো একটি বিষয় অবলম্বনে রচনা লেখো: (কমবেশি ৪০০ শব্দে)
১১.১ তোমার বিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিন।
উত্তর: আমার বিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিন
জীবনের বহু স্মৃতির মধ্যে সবচেয়ে স্মরণীয় ও আবেগঘন একটি দিন হলো বিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিন। সেই দিনটির কথা আজও মনে পড়লে মনে হয়, যেন কালকের কথা। ছোট্ট আমি, মায়ের হাত ধরে নতুন জামা আর ঝকঝকে ব্যাগ নিয়ে এক অনন্য অনুভূতি নিয়ে পা রেখেছিলাম জীবনের নতুন অধ্যায়ে।
সকালে মা আমাকে খুব যত্ন করে স্কুল ইউনিফর্ম পরিয়ে দিয়েছিলেন। আমার নতুন ব্যাগ, তাতে নতুন বই-খাতা, আর কাঁধে জলভর্তি ওয়াটার বটল। আমার স্কুল ছিল আমাদের পাড়ার কাছেই—একটা সুন্দর ছোট্ট বিদ্যালয়। মা সেদিন হাতে ধরে নিয়ে গিয়েছিলেন। আমি তখন খুব ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। আশেপাশে এত নতুন মুখ, এত বাচ্চা, কেউ হাসছে, কেউ কাঁদছে—আমি শুধু চুপ করে মা’র হাত শক্ত করে ধরে ছিলাম।
স্কুলের মূল ফটক পেরোনোর পর এক আপা এসে আমাকে হাসিমুখে বরণ করে নেন। তিনি ছিলেন আমার শ্রেণিশিক্ষিকা। মা আমাকে তাঁর হাতে তুলে দিয়ে বললেন, “ভয় পাস না, আমি এখানেই আছি।” কিন্তু আমি তো তখন প্রথমবার মা থেকে আলাদা হচ্ছি! চোখে জল এসে গিয়েছিল। শিক্ষিকা বুঝেছিলেন, তিনি আমাকে কোলে করে শ্রেণিকক্ষে নিয়ে গিয়েছিলেন।
শ্রেণিকক্ষে ঢুকতেই দেখি আরও অনেক শিশু সেখানে বসে আছে। কেউ কাঁদছে, কেউ খেলছে। আমি একটা বেঞ্চে গিয়ে বসি। শিক্ষিকা গল্প বলেছিলেন, ছবি এঁকে দেখিয়েছিলেন, খেলাও করিয়েছিলেন—আমার মনটা ধীরে ধীরে ভালো হয়ে যায়। ক্লাস শেষে মাকে আবার দেখে দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরি। মাও হেসে আমাকে আদর করেন।
সেই প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা আমাকে শেখায়, প্রতিটি নতুন শুরুর আগে ভয় আসতেই পারে, কিন্তু সাহস আর ভালোবাসা থাকলে সবকিছু সহজ হয়ে যায়। সেই দিন থেকেই শুরু হয়েছিল আমার শৈশবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও সুন্দর সময়—বিদ্যালয় জীবন।
আজ আমি যখন বড় হয়েছি, সেই ছোট্ট হাত ধরে বিদ্যালয়ে যাওয়া, প্রথম শ্রেণিকক্ষের ভয়, শিক্ষিকার স্নেহ—সব মনে পড়ে যায় আর মনটা ভরে যায় এক মিষ্টি আনন্দে। বিদ্যালয়ের প্রথম দিনই ছিল আমার শিক্ষাজীবনের প্রথম ধাপ, যা আজও হৃদয়ে অমলিন হয়ে আছে।
১১.২ সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়।
উত্তর: সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়
প্রকৃতি আমাদের পরম বন্ধু হলেও, মাঝে মাঝে সে তার ভয়ংকর রূপে আবির্ভূত হয়। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বজুড়ে নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয় আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। কোথাও ঘূর্ণিঝড়, কোথাও অতিবৃষ্টি ও বন্যা, কোথাও আবার ভূমিকম্প বা ভূমিধস মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলছে। এসব বিপর্যয়ের পেছনে যেমন প্রাকৃতিক কারণ আছে, তেমনই রয়েছে মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ড।
২০২৪ সালের শেষদিকে এবং ২০২৫ সালের শুরুতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশে ঘূর্ণিঝড় “রিমাল”-এর প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। ভারতের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে এই ঝড়ে প্রচুর গাছপালা উপড়ে যায়, বাড়িঘর ভেঙে পড়ে, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ব্যাহত হয় এবং বহু মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাধ্য হন। অনেক পরিবার সর্বস্ব হারিয়েছে। কৃষিকাজ, মাছ ধরার মতো জীবিকাও বিপন্ন হয়েছে।
এছাড়াও, হিমালয় অঞ্চল ও উত্তর ভারতের কিছু রাজ্যে সম্প্রতি ভূমিকম্প হয়েছে। এতে অনেক বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে, মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত এবং তীব্র গরমে কৃষি কাজ ব্যাহত হয়েছে। এসব প্রাকৃতিক বিপর্যয় আমাদের প্রকৃতির প্রতি দায়িত্বহীন আচরণের পরিণতিও বলা চলে।
বন উজাড়, বায়ু ও জলদূষণ, নদী-নালার দখল, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাব এসব বিপর্যয়কে আরও তীব্র করে তুলছে। ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে এবং পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।
এই অবস্থার মোকাবিলায় আমাদের সচেতন হতে হবে। বেশি করে গাছ লাগানো, দূষণ নিয়ন্ত্রণ, নদী ও বন সংরক্ষণ, আবর্জনা অপসারণ ইত্যাদি পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও এগিয়ে আসা জরুরি।
প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধ না করা গেলেও সচেতনতা ও প্রস্তুতির মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই কমানো সম্ভব। মনে রাখতে হবে, প্রকৃতি আমাদের মা, তার প্রতি দায়িত্ব পালন করলেই সে আমাদের রক্ষা করবে। নচেত, বারবার তার রুদ্ররূপ দেখতেই হবে।
— রিকা প্রদ্ধান
শ্রেণি: দশম
বিদ্যালয়: কলি বিদ্যানিকেতনের উচ্চ বিদ্যালয়
১১.৩ শৈশবে ফেলে আসা দিনগুলি।
উত্তর: আমার শৈশবে ফেলে আসা দিনগুলি
শৈশব মানেই এক অফুরান আনন্দের ভাণ্ডার। এই সময়টুকুই জীবনের সবচেয়ে নির্মল, সবচেয়ে আনন্দঘন পর্ব। ফেলে আসা শৈশবের দিনগুলি এখন কেবলই স্মৃতির পাতায় ধরা পড়ে, কিন্তু সেগুলির রঙ যেন এখনও চোখে ভাসে।
আমার শৈশব কেটেছে এক ছোট্ট গ্রামে। সকালবেলা উঠেই খালি পায়ে ছুটে যেতাম পুকুর পাড়ে, বন্ধুদের সঙ্গে মাছ ধরা বা গাছে চড়া ছিল নিত্যদিনের কাজ। তখনকার দিনে ঘড়ি ধরে সময় চলত না, দিন চলত খেলার ছকে—’বউচি’, ‘লুকোচুরি’, ‘গোল্লাছুট’, ‘কুমির ডাঙ্গা’ ছিল আমাদের প্রিয় খেলা। স্কুল মানেই ছিল বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হওয়ার আনন্দ, আর টিফিনের সময় মানেই ভাগ করে খাওয়া।
বাড়ির আশপাশে যে প্রকৃতির সৌন্দর্য ছিল—কান্নির মতো কুয়াশাভেজা সকাল, ধানখেতের ভরা গন্ধ, আর সন্ধ্যাবেলার ঝিঁঝিঁর ডাক—সবকিছু আজও মনে পড়ে। তখন ছিল না মোবাইল ফোন, ছিল না ভিডিও গেম, কিন্তু মনটা ছিল অনেক বেশি খুশি, অনেক বেশি মুক্ত।
ছুটি মানেই মামার বাড়ি যাওয়ার উত্তেজনা, নতুন জামা, মেলা, হাওয়ায় ওড়া কাগজের ঘুড়ি, আর মায়ের হাতের পায়েস—সব মিলিয়ে শৈশব ছিল এক রঙিন জাদুর বাক্স। কোনও চিন্তা ছিল না, দুঃখ ছিল না, পরীক্ষার ভয়ও ছিল কম। শুধু ছিল আনন্দ, ভালোবাসা আর স্বপ্ন।
আজ যখন বড় হয়েছি, জীবনের ব্যস্ততায় আটকে গেছি, তখন বুঝি সেই শৈশবের দিনগুলো কতটা মূল্যবান ছিল। এখন সময়মতো ঘুম, খাওয়া বা খেলা কিছুই নেই। চারপাশে শুধু দৌড় আর দুশ্চিন্তা। তাই মাঝে মাঝে মনটা খুব চায়—আবার যদি একদিনের জন্য হলেও সেই শৈশবে ফিরে যেতে পারতাম!
শৈশবের দিনগুলো কখনই আর ফিরে আসবে না, তবে তারা রয়ে গেছে মনের গভীরে। তারা আজও কঠিন জীবনে আশার আলো দেখায়, ক্লান্ত মনকে সান্ত্বনা দেয়। শৈশব শুধু একটা সময় নয়, এটা এক অনুভব, এক চিরন্তন ভালোবাসা।
— রিজু গুপ্তা
শ্রেণি: দশম
বিদ্যালয়: বিদ্যানিকেতনের উচ্চ: বিদ্যালয়
১১.৪ মাতৃভাষায় বিজ্ঞানচর্চা
উত্তর: মাতৃভাষায় বিজ্ঞানচর্চা
ভাষা কোনো জাতির সংস্কৃতি, পরিচয় ও ভাব প্রকাশের প্রধান মাধ্যম। মাতৃভাষা সেই ভাষা, যা শিশুর প্রথম শেখা, বেড়ে ওঠার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা একান্ত অনুভবের বিষয়। তাই শিক্ষা ও জ্ঞানের সমস্ত শাখার মতো বিজ্ঞানচর্চাও মাতৃভাষায় হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
বিজ্ঞান একটানা যুক্তি ও পরীক্ষাভিত্তিক শৃঙ্খলা। ছাত্রছাত্রীরা যদি তাদের পরিচিত ভাষায় বিজ্ঞানের কঠিন তত্ত্ব ও নিয়ম বোঝে, তাহলে বিষয়টি অনেক সহজ হয়ে ওঠে। মাতৃভাষায় পড়লে তাদের চিন্তাশক্তি ও বিশ্লেষণক্ষমতা স্বাভাবিকভাবে গড়ে ওঠে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, আমাদের দেশে অনেক জায়গাতেই বিজ্ঞান চর্চা এখনও ইংরেজির উপর নির্ভরশীল। ফলে বহু ছাত্র-ছাত্রী, বিশেষ করে গ্রামীণ বা প্রথম প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানে পিছিয়ে পড়ে, কেবল ভাষাগত সমস্যার কারণে।
মাতৃভাষায় বিজ্ঞান শেখানোর মাধ্যমে ছাত্রদের মনে সাহস ও আগ্রহ জন্মে। তারা বুঝতে শেখে—বিজ্ঞান কেবল পরীক্ষার বিষয় নয়, বরং জীবন ও সমাজের বাস্তব সমস্যার সমাধান খোঁজার এক হাতিয়ার। এক্ষেত্রে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানবিষয়ক পাঠ্যবই, প্রবন্ধ, সাধারণ জ্ঞানভিত্তিক লেখা ও শিক্ষামূলক ভিডিওর সংখ্যা বাড়ানো দরকার।
বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও বিজ্ঞানসচেতন মনীষীরা বহু আগেই বলেছিলেন, “বিজ্ঞানকে মাতৃভাষার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।” রাজশেখর বসু, সত্যেন বসু, জগদীশচন্দ্র বসু প্রমুখ এই প্রচেষ্টার পথিকৃৎ ছিলেন। আজও তাঁদের মতো মনীষীদের দেখানো পথে চলা জরুরি।
এছাড়াও, স্কুল-কলেজে বাংলা মাধ্যমে বিজ্ঞান শিক্ষার পরিমাণ বাড়ানো, শিক্ষকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া, এবং বাংলা ভাষায় গবেষণাপত্র প্রকাশকে উৎসাহিত করাও দরকার। বাংলায় বিজ্ঞানচর্চা শুধু ভাষার মর্যাদাই বাড়ায় না, শিক্ষার গণতন্ত্রীকরণেও তা সাহায্য করে।
অতএব, মাতৃভাষায় বিজ্ঞানচর্চা হলো সময়ের দাবি। এর মাধ্যমে যেমন বিজ্ঞান হবে আরও সহজবোধ্য, তেমনি সমাজেও গড়ে উঠবে যুক্তিবাদী ও বিজ্ঞানমনস্ক এক প্রজন্ম, যারা মাতৃভাষার গৌরব রক্ষা করে এগিয়ে যাবে আগামী দিনের পথে।
MadhyamikQuestionPapers.com এ আপনি অন্যান্য বছরের প্রশ্নপত্রের ও Model Question Paper-এর উত্তরও সহজেই পেয়ে যাবেন। আপনার মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে এই গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ কেমন লাগলো, তা আমাদের কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আরও পড়ার জন্য, জ্ঞান অর্জনের জন্য এবং পরীক্ষায় ভালো ফল করার জন্য MadhyamikQuestionPapers.com এর সাথে যুক্ত থাকুন।